কম দামে ভালো ফোন যে সকল উপায়ে ক্রয় করবেন

ঘরে বসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়কম দামে ভালো ফোন খুঁজছেন? মর্ডান আইটির গাইডে আপনি পাবেন সেরা বাজেট ফোনের তালিকা, কেনার টিপস এবং বিশেষ অফার। এখনই জানুন, কীভাবে সস্তায় কিনবেন প্রিমিয়াম ফোন এবং আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা অপশনগুলো খুঁজে বের করুন!
কম-দামে-ভালো-ফোন-যে-সকল-উপায়ে-ক্রয়-করবেন
সীমিত বাজেটে স্মার্টফোন কিনতে চান? আমরা আপনাকে একদম কম টাকার মধ্যে সেরা ফোনের তালিকা দিচ্ছি। ক্যামেরা, ব্যাটারি, ডিজাইন সবকিছুতে ভালো ফোন খুঁজছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কম দামে ভালো ফোন যে সকল উপায়ে ক্রয় করবেন


মর্ডান আইটি

মূলভাব - কম দামে ভালো ফোন

আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে থাকছে। কম দামে ভালো ফোন কেনার আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করতে হবে? কোন ব্র্যান্ডের ফোনগুলো কম দামে ভালো ফিচার দেয়? ফোন কেনার আগে রিভিউ দেখা কেন জরুরি? ১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন সকল ফোন সমূহ। 


১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন। কম দামের মধ্যে সবথেকে ভালো ক্যামেরার ফোনসমূহ। এজন্য আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বাজেট কম হলেও অনেক ভালো ব্যান্ডের ফোন ক্রয় করতে পারবেন। 

কম দামে ভালো ফোন কেনার আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করতে হবে?

কম দামে ভালো ফোন কেনার একটি অন্যতম পূর্ব শর্ত অর্থাৎ কিছু বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যার ফলে আপনার প্রয়োজন এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী কম দামের মধ্যে সর্বোচ্চ ভালো ফোনটি ক্রয় করতে পারবেন। নিচে কিছু টিপস এবং ট্রিকস তুলে ধরা হলোঃ-

প্রসেসর ও পারফরম্যান্স অর্থাৎ একটি ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতিশীলতা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যার ফলে একটি ফোন কতটা স্মুথ বা ভালোভাবে চলবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে থাকে প্রসেসরের ওপর। এজন্য স্ন্যাপড্রাগন, মিডিয়াটেক, বা এক্সিনোসের মতো প্রসেসরগুলোর কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি এজন্য এ সকল প্রসেসর ওয়ালা ফোন নিঃসন্দেহে ক্রয় করতে পারবেন।


র‌্যাম (RAM) এবং স্টোরেজ অর্থাৎ রেম হচ্ছে ফোনের অন্যতম একটি অত্যাবশ্যকীয় উৎপাদন কেননা ই র‌্যামের মাধ্যমে কোন ফোন কতটা ভালো কার্যক্ষমতা অর্থাৎ একই সাথে অনেকগুলো অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যথেষ্ট স্টোরেজ বা র‌্যাম এর প্রয়োজন হয়, এজন্য ফোনের পারফরম্যান্স সম্পূর্ণ র‌্যামের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ৪GB র‌্যাম এবং ৬৪GB স্টোরেজ ভালো পারফর্ম করে। তবে, যদি বেশি গেম বা অ্যাপস ব্যবহার করেন, তাহলে ৬GB বা তার বেশি র‌্যাম বেছে নিতে পারেন।

ক্যামেরা কোয়ালিটি অর্থাৎ যদি ক্যামেরা ভালো চান, তাহলে মেগাপিক্সেল ছাড়াও সেন্সর, অ্যাপারচার, এবং ক্যামেরার সফটওয়্যারের দিকেও মনোযোগ দিতে পারেন কেননা ডুয়েল বা ট্রিপল ক্যামেরা ফোনগুলি বর্তমানে জনপ্রিয়। এছাড়াও আপনি যদি ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও করার জন্য একটু ভালো ক্যামেরা পেতে চান তাহলে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল, এপারচার এবং অন্যান্য ফিউচারগুলো নিতে পারেন।


ব্যাটারি লাইফ অর্থাৎ ৫,০০০ mAh বা তার বেশি ব্যাটারির ফোন ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রদান করে। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন দ্রুত চার্জিং এর ব্যবস্থা থাকলে আপনার জন্য এটি একটি বড় সুবিধা হয়ে উঠবে। এজন্য দ্রুত চার্জিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ফোন ক্রয় করা।

ডিসপ্লে কোয়ালিটি অর্থাৎ ফোনের ডিসপ্লে বড় এবং ভালো রেজোলিউশন সম্পন্ন হলে ভিডিও দেখা, গেম খেলা, ও অন্যান্য আরো সকল কাজের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করবে। AMOLED বা IPS LCD এ সকল ডিসপ্লে যুক্ত ফোন গুলো ক্রয় করবেন কেননা এগুলো উন্নত এবং ভালো মানের ডিসপ্লে।


ব্র্যান্ড এবং সাপোর্ট অর্থাৎ বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বেছে নিন, যারা পূর্বের দিন সময়ে কাস্টমারদের ভালো সাপোর্ট দিয়ে আসছে। কেননা অনেক সময় দেখা যায় কিছু ব্র্যান্ডের ফোন রয়েছে যারা ভালো কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে থাকে না এজন্য শাওমি, রিয়েলমি, স্যামসাং, ভিভো, বা অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলোর ফোন বাজেটের মধ্যে পাওয়া গেলে এসব গোল ব্র্যান্ডের ফোন নিঃসন্দেহে ক্রয় করতে পারেন।

আপডেট ও সফটওয়্যার অর্থাৎ ফোনের সফটওয়্যার আপডেট এবং নিরাপত্তা প্যাচ নিয়মিত হলে সেটি দীর্ঘমেয়াদে ভালো কাজ করে। Android One প্রোগ্রাম বা এমন ব্র্যান্ডের ফোন কিনুন যেগুলো নিয়মিত আপডেট প্রদান করে। যার ফলে গ্রাহকরা নতুন নতুন ফিউচারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ থাকে এবং ফোনের পারফরম্যান্স ও তুলনামূলকভাবে ভালো পাওয়া যায়।


বিল্ড কোয়ালিটি অর্থাৎ কম দামে ভালো ফোন পেতে ফোনের ডিজাইন এবং নির্মাণের মানও বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। প্লাস্টিক বা গ্লাস ব্যাকের ফোন থাকলেও এর স্থায়িত্ব এবং দেখতেও ভালো হওয়া জরুরি।
উপরোক্ত সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি সহজেই আপনার বাজেটের মধ্যে ভালো একটি ফোন বেছে নিতে পারবেন। এছাড়াও আরো যে সকল বিষয়গুলো মনে রাখবেন
  • রিভিউ অর্থাৎ ফোন কিনার পূর্বে অবশ্যই আপনি যদি কোন একটি ফোন পছন্দ করে থাকেন তাহলে ওই ফোনটির মডেল দিয়ে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এছাড়াও আরো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে এর ফোনের বিষয়ে রিভিউ দেখে নিবেন। যার ফলে কম দামের মধ্যে অবশ্যই একটি ভালো ফোন পেতে পারেন।
  • গ্যারান্টি সার্ভিস অর্থাৎ কোন শোরুম কিংবা দোকানে ফোন কিনার পূর্বে ওই ফোন সম্পর্কে গ্যারান্টি সার্ভিস আছে কিনা সেটি ভালোভাবে জেনে নিবেন। যদি গ্যারান্টি সার্ভিস থাকে তাহলে সেই কাস্টমার সার্ভিস কোথায় সেটাও উনার কাছ থেকে জেনে নিবেন। যদি গ্যারান্টি এবং কাস্টমার সার্ভিস আপনার কাছে সহজলভ্য মনে হয়, তাহলে অবশ্যই আপনি সেই ফোনটি ক্রয় করতে পারেন।
  • পরিচিত মানুষজনদের কাছ থেকে রিভিউ নেওয়া অর্থাৎ আপনি যে ফোনটি ক্রয় করতে যাচ্ছেন সে ফোনটি ইতিমধ্যে হয়তো আপনার কোন বন্ধু কিংবা আত্মীয়-স্বজন ব্যবহার করেছে। যার ফলে সে এই ফোনটি সম্পর্কে সব থেকে ভালো জানে। এজন্য তাদের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করা।
কম দামে ভালো ফোন কেনার পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি কোন ব্যক্তি মনে রাখে তাহলে অবশ্যই সে ব্যক্তি কম দামের মধ্যে সর্বোচ্চ ভালো ফোন ক্রয় করতে তাকে সাহায্য করবে। কোন ব্যক্তি চাইলে তার চাহিদা এবং বাজেট অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভালো ফোন ক্রয় করতে পারবে।

কোন ব্র্যান্ডের ফোনগুলো কম দামে ভালো ফিচার দেয়?

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের ফোন রয়েছে যেগুলোতে দেখতে একটু আকর্ষণীয় হলে ফোনের বিভিন্ন ফিউচার ভালো দেয় না, যার ফলে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 


এজন্য আপনি যদি জেনে নিন যে কোন ব্যান্ডের ফোনগুলো কম দামে ভালো ফিউচার দিয়ে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আপনাকে প্রতারিত করতে পারবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল ফিউচার গুলো সম্পর্কে।

১। Xiaomi (Redmi/POCO)
  • Xiaomi-এর Redmi এবং POCO সিরিজের ফোনগুলো কম দামে ভালো পারফরম্যান্স এবং ফিচার দেয়। এই ফোনগুলোতে সাধারণত ভালো প্রসেসর, ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং ডিসপ্লে পাওয়া যায়। এজন্য এই ব্র্যান্ডের ফোন গুলো বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, আপনি আপনার পছন্দের তালিকায় অবশ্যই এই ব্যান্ডের ফোনটিকে রাখতে পারেন।
২। Realme
  • Realme ফোনগুলোও বাজেট সেগমেন্টে ভালো ফিচার সরবরাহ করে। মিড-রেঞ্জ এবং এন্ট্রি-লেভেল ফোনের মধ্যে তাদের ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং ডিসপ্লে ভালো হয়। Realme ফোন উপরোক্ত ব্যান্ডের মত অন্যতম একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড যারা কাস্টমারদের সর্বোচ্চ সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
৩। Samsung (Galaxy M এবং A সিরিজ)
  • Samsung-এর M এবং A সিরিজের ফোনগুলো মধ্যম দামের মধ্যে ভালো ফিচার সরবরাহ করে। Samsung ব্র্যান্ডের নাম এবং বিশাল ডিসপ্লে ও ব্যাটারি আকারে ফোনগুলো বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয়।
৪।  Motorola
  • Motorola-এর বাজেট ফোনগুলো স্টক অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতা এবং ভালো ব্যাটারি লাইফ দিয়ে পরিচিত। তাদের ফোনগুলো সাধারণত নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
৫। Infinix 
  • Infinix ফোনগুলো কম দামে বড় ডিসপ্লে, ভালো ক্যামেরা এবং শক্তিশালী ব্যাটারি দিয়ে পরিচিত। এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে এই ব্র্যান্ডটি জনপ্রিয়। এবং ফোনে রিভিউ অনেক ভালো কেননা ইনফিনিক্স তাদের ফোনে নিত্যনতুন ফিউচার গুলো আপডেট দিয়ে থাকে, এবং কাস্টমারদের সর্বোচ্চ সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করে।
৬। Tecno
  • Tecno ফোনগুলোও কম বাজেটে আকর্ষণীয় ফিচার এবং ক্যামেরা ক্ষমতা প্রদান করে। বিগত দিনসময়ের কাস্টমারদের রিভিউ অনুযায়ী এই ফোনটি ক্যামেরা সহ আরো বিভিন্ন ফিউচারগুলো খুব ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের বাইরে আফ্রিকান বাজারে এই ফোনটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফোন হিসেবে পরিচিত।

আপনার বাজেট অনুযায়ী এই ব্র্যান্ডগুলোর মধ্য থেকে ফোন বেছে নিতে পারেন।

ফোন কেনার আগে রিভিউ দেখা কেন জরুরি?

ফোন কেনার আগে অবশ্যই সে ফোন সম্পর্কে রিভিউ দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ কেননা কম দামে ভালো ফোন তখনই ক্রয় করতে পারবেন যখন সে ফোনটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং রিভিউ এর ভিত্তিতে কোন ফোন ক্রয় করবেন। 


 আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন যে আমার ফোনটি দীর্ঘদিন ধরে ভালো পারফরম্যান্স যেন দেয়। এই কারণেই ফোন কেনার আগে রিভিউ দেখা খুবই জরুরি।

পারফরম্যান্সঃ রিভিউ দেখে আপনি জানতে পারবেন ফোনের পারফরম্যান্স কেমন। কেননা ফোন কেনার পূর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রিভিউ দেখা যা আপনাকে পূর্ববর্তী কোনো ব্যক্তির ব্যবহারকৃত রিভিউ একটি ভাল ব্র্যান্ডের ফোন ক্রয় করতে সাহায্য করবে। এই প্রক্রিয়ায় সুবিধাজনক ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেঃ একমাত্র রিভিউগুলোর মাধ্যমে আপনি কোন ফোনের সমস্ত ফিউচার অর্থাৎ ব্যাটারি, ক্যামের্‌ পারফরম্যান্স, এবং সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনি নিজেই তখন বুঝতে পারবেন যে আপনার কোন ফোনটি ক্রয় করা সব থেকে ভালো হবে।

বিল্ড কোয়ালিটিঃ কিভাবে ফোন তৈরি করা হয়েছে এবং এর টেকসই হওয়া সম্পর্কে রিভিউগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও রিভিউ গুলোর মাধ্যমে সেই ফোনের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারবেন যার ফলে আপনি ওই ফোনটি ব্যবহার করার পূর্বেই সেই ফোন সম্পর্কে জেনে যাবেন। এবং আপনার যদি সে ফোনটি তেমন মনে হয় তাহলে ক্রয় করবেন না। সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ফোন কিনে আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে না।

ব্যাটারি লাইফঃ ফোনের ব্যাটারি কতক্ষণ চলে এবং চার্জিং টাইম কেমন, তা রিভিউতে উল্লেখ থাকে।

ক্যামেরা কোয়ালিটিঃ ফোনের ক্যামেরা কতটা ভালো ছবি তোলা যায় তা জানার জন্য রিভিউ পড়ে দেখতে পারেন।

বাগ ও সমস্যাঃ বিভিন্ন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আপনাকে ফোনের সম্ভাব্য বাগ বা সমস্যাগুলি সম্পর্কে অবহিত করতে পারে।

মূল্যবান বৈশিষ্ট্যঃ ফোনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি, যেমন ডিজাইন, সফটওয়্যার আপডেট, এবং অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

মুল্যবোধঃ রিভিউ পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন ফোনটির দাম কতটা যৌক্তিক এবং তা আপনার বাজেটের সাথে মানানসই কিনা।

এজন্য উপরোক্ত সকল বিষয়গুলোর উপর কোন ফোন কেনার পূর্বে জেনে নিবেন যা আপনাকে কম দামের মধ্যে অত্যন্ত ভালো একটি ফোন ক্রয় করতে সাহায্য করবে। একমাত্র রিভিউ আপনাকে একটি ভাল তথ্যপ্রাপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং আপনার কেনাকাটা আরো সফল হবে।

১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন সকল ফোন সমূহ

অনেক ব্যক্তি ফোন কিনার পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানার কারণে পরবর্তীতে তারা ফোন কিনার পর বিভিন্ন ধরনের আফসোস কিংবা ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য ফোন কিনার পূর্বে এ সকল বিষয়গুলো কেউ যদি অনুসরণ করে তাহলে ভবিষ্যতে আপনাকে 


ফোন কেনার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি কখনো প্রতারিত করতে পারবে না। বর্তমান সময়ে ১০ হাজার টাকার মধ্যে অনেক ভালো মানের ফোন পাওয়া যায় যা দিয়ে কোন ব্যক্তি খুব সহজেই তার দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজকর্ম করতে পারবে।
  1. Tecno Spark Go 2023 – BDT 8,999 (2GB RAM, 64GB storage, battary-5000 mAh, 4G connectivity)
  2. Xiaomi Redmi A1 – BDT 8,999 (2GB RAM, 32GB storage, battary-5000 mAh )
  3. itel A60S – BDT 8,990 (4GB RAM, 64GB storage, battary-5000 mAh)
  4. Walton Orbit Y12 – BDT 8,499 (3GB RAM, 32GB storage, battary-5000 mAh)
  5. Redmi 12C – BDT 10000 (4GB RAM, battary-5000 mAh, 64GB storage)
  6. Symphony ATOM 4 – BDT 8,699 (3GB RAM, 32GB storage, battary-5000 mAh)
  7. Nokia C12 Pro – BDT 8,999 (2GB RAM, 64GB storage, battary-5000 mAh)
  8. Benco V70 – BDT 8,690 (3GB RAM, 32GB storage, battary-5000 mAh)
  9. itel P40 – BDT 9,990 (4GB RAM, battary-5000 mAh, 64GB storage)
  10. itel S23 – BDT 9,990 (4GB RAM, battary-5000 mAh, 128GB storage)
  11. Symphony Z60 Plus – BDT 10000 (6GB RAM, battary-5000 mAh, 128GB storage)
এই ফোনগুলো সবই বাজেট ফ্রেন্ডলি যার ফলে আপনার বাজেট কম হলেও এই ফোনগুলো ক্রয় করতে পারবেন এবং প্রাথমিক ব্যবহার ও দৈনন্দিন কাজের জন্য বেশ উপযোগী। ফোন কেনার সময় অবশ্যই ব্যাটারি, ক্যামেরা এবং প্রসেসরের দিকটা দেখে নেবেন, যাতে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু পাওয়া যায়।

১৫ হাজার টাকার মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ব্যান্ডের ফোন সমূহ

বর্তমান সময়ে আপনার বাজেট যদি হয় ১৫ হাজার টাকা? তাহলে আপনি অনেক ভাল একটি স্মার্টফোন ক্রয় করতে পারবেন কেননা বর্তমান সময়ে ১৫ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে অনেক ভালো স্মার্টফোন পাওয়া যায়। কিছু জনপ্রিয় ব্যান্ডের এত ভালো ফোন রয়েছে যার ফলে কোন ব্যক্তি কোন ফোনটা থেকে কোন ফোন নিবে, অনেক সময় দিশেহারা হয়ে পড়ে। 


এজন্য বর্তমান সময়ে পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে কিছু ভালো ব্র্যান্ডের ফোনের তালিকা দেওয়া হলো

1. Realme Narzo 50A
  • দাম: প্রায় ১৪,০০০ টাকা
  • প্রসেসর: MediaTek Helio G85
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ১২৮ জিবি
  • ক্যামেরা: ৫০+২+২ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: ৬০০০ এমএএইচ
২. Xiaomi Redmi 12C
  • দাম: প্রায় ১২,৫০০ টাকা
  • প্রসেসর: MediaTek Helio G88
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ৬৪ জিবি
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি
  • ব্যাটারি: ৫০০০ এমএএইচ
৩. Samsung Galaxy M13
  • দাম: প্রায় ১৪,৯০০ টাকা
  • প্রসেসর: Exynos 850
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ৬৪ জিবি
  • ক্যামেরা: ৫০+৫+২ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
  • ব্যাটারি: ৫০০০ এমএএইচ
৪. Infinix Hot 30i
  • দাম: প্রায় ১১,৯০০ টাকা
  • প্রসেসর: Unisoc T606
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ৬৪ জিবি
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি
  • ব্যাটারি: ৫০০০ এমএএইচ
৫. Motorola Moto G13
  • দাম: প্রায় ১৪,৫০০ টাকা
  • প্রসেসর: MediaTek Helio G99
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ৬৪ জিবি
  • ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি
  • ব্যাটারি: ৫০০০ এমএএইচ
৬। Poco M-5
  • দাম: প্রায় ১৪,২৫০ টাকা
  • প্রসেসর: MediaTek Helio G85
  • র‍্যাম: ৪ জিবি
  • স্টোরেজ: ৬৪ জিবি
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি
7. Realme C-61
  • দামঃ প্রায় ১৪,৫০০ টাকা
  • প্রসেসরঃ MediaTek Helio G৯৫
  • র‍্যামঃ ৮ জিবি
  • স্টোরেজঃ ১২৮ জিবি
  • ক্যামেরাঃ ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি

এই ফোনগুলো ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স এবং ফিচার দিয়ে থাকে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং প্রসেসর দেখে বেছে নিতে পারেন। অবশ্যই ফোন কিনার পূর্বে ফোনটি হাতে নিয়ে সে ফোন সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে বুঝে নিবেন।

কম দামের মধ্যে সবথেকে ভালো ক্যামেরার ফোনসমূহ

বর্তমান সময়ে অনেকেই ভালো মানের ক্যামেরা সংযুক্ত ফোন কেনার জন্য আগ্রহী কেননা এই উন্নত প্রযুক্তির ফলে অনেকেই ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও তৈরি করে থাকে। যার কারণে একটি ভালো ক্যামেরার সংযুক্ত ফোনের কোন বিকল্প নেই। 


বাজারে এখন এমন কিছু ব্রান্ডের ফোন রয়েছে যা কম দামে হওয়ার পরও দারুণ ক্যামেরা সংযুক্ত পারফরম্যান্স দেয়। তবে, কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। কম দামের মধ্যে ভালো ক্যামেরা সংযুক্ত ফোনের তালিকা সমূহ

1. Realme Narzo 50A
  • দাম: প্রায় ১৪,০০০ টাকা
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট এবং ম্যাক্রো লেন্স, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
  • বিশেষত্ব: ভালো ডিটেইলস এবং লো লাইট পারফরম্যান্স
২. Xiaomi Redmi 12C
  • দাম: প্রায় ১২,৫০০ টাকা
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
  • বিশেষত্ব: বড় সেন্সর, ভালো কালার রিপ্রোডাকশন
৩. Samsung Galaxy M13
  • দাম: প্রায় ১৪,৯০০ টাকা
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৫ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি
  • বিশেষত্ব: আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, ডেপথ সেন্সর
৪. Infinix Note 12
  • দাম: প্রায় ১৫,০০০ টাকা
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর, ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি
  • বিশেষত্ব: বড় অ্যাপারচার, ভালো সেলফি ক্যামেরা
৫. Tecno Spark 10 Pro
  • দাম: প্রায় ১২,০০০ টাকা
  • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
  • বিশেষত্ব: স্মার্ট বিউটি মোড, ভালো লাইট সেন্সিটিভিটি
৬. Motorola Moto G13
  • দামঃ প্রায় ১৪,৫০০ টাকা
  • ক্যামেরাঃ ৫০ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি
  • বিশেষত্বঃ ক্লিয়ার ফটোগ্রাফি এবং স্ট্যাবল ভিডিও
উপরোক্ত সকল ফোনগুলোর ক্যামেরা কোয়ালিটি দামের তুলনায় সবচেয়ে ভালো এবং দৈনন্দিন ফটোগ্রাফির এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও জন্য সেরা।

লেখকের শেষ মন্তব্য

সঠিকভাবে ফোন বেছে নেওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে আপনার প্রয়োজন ও বাজেটের উপর। কম দামে ভালো ফোন পেতে হলে বাজারের পরিবর্তনশীল সকল ফোনের মূল্য এবং নতুন অফারগুলোর দিকে নজর রাখা জরুরি। আশা করি, এই পোস্টটি আপনাকে একটি কম দামে ভালো ফোন ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। 


সবশেষে, যে কোনো ফোন কেনার আগে তার ব্যাটারি, ক্যামেরা, প্রসেসর ও স্টোরেজ ক্ষমতা যাচাই করে নেওয়া উচিত। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে আমরা আরও ভালোভাবে সাহায্য করতে পারি। আর এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url