ghum theke uthar dua এছাড়াও ঘুমানোর দোয়া বাংলা অর্থসহ
ফ্রী লটারি খেলে হাজার টাকা ইনকাম করুনআপনি কি জানেন, ভোরবেলা ঘুম ভেঙে উঠার পর কোন দোয়া পড়লে আপনার দিনটা আরও বরকতময় হতে পারে? আপনি কি জানতে চান ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুমানোর দোয়াগুলো আমাদের জীবনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে? সারারাত আমল করার সব পাবেন যদি কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও আপনার ঘুমকে মহান আল্লাহতালা ইবাদতের সাথে পরিপূর্ণ করে দিবে।
কেননা ইসলাম ধর্মে জীবনকে বরকতময় ও সুন্দর করে তুলতে কিছু ইতিবাচক নিয়ম রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করার ফলে আপনি আপনার জীবনের বিভিন্ন জটিল সমস্যায় আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সাহায্য করবে। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুমানোর বিভিন্ন দোয়া, এর অর্থ এবং তা পড়ার ফজিলত সম্পর্কে
পোস্ট সূচিপত্রঃ ghum theke uthar dua
ghum theke uthar dua
মূলভাব- ghum theke uthar dua
প্রতিটি দোয়ার অর্থ সম্পর্কে জানুন এবং বুঝুন এর গভীরতা। এই দোয়াগুলো নিয়মিত পড়ার ফলে আপনি কী কী ফজিলত লাভ করতে পারবেন। ঘুমানোর আগে দোয়া কেন পড়বেন? কারণ আপনার আধ্যাত্মিক জীবকে আরও সমৃদ্ধ করতে, মানসিক শান্তি ও স্বস্তি অর্জন করতে, এছাড়াও বিভিন্ন দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় সাহায্য পেতে
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিল করতে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ব্যক্তি রয়েছে যারা আরবি পড়তে জানেন না এছাড়াও অনেকেই জানেন কিন্তু এই দোয়ার ফজিলত, গভীরতা সম্পর্কে তেমন একটা জানা নেই সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আজকে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ সহ ঘুমানোর দোয়া এবং ঘুম থেকে উঠার দোয়া খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি সর্বকালের মহামানব রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উত্তম আদর্শ তিনি কিভাবে ঘুম থেকে উঠতে এবং ঘুমাতে যেতেন সকল বিষয়ে হাদিস সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য কোন ব্যক্তি যদি পারে মহানবীর জীবন আদর্শ নিজের জীবনের ধারণ করতে অবশ্যই সে একজন মুমিন এবং মুত্তাকিন হয়ে উঠবে। ইনশাআল্লাহ।
ঘুমানোর পূর্বে আমলসমূহ-একটি শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর সকালের জন্য
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের বলেছেন আমি তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি বা অবসাদ দূর কারী এবং রাত্তিকে করেছি আবরণ এবং দিনের সময় জীবিকা অর্জনের জন্য সর্বোত্তম সময়। সূরা ফুরকান আয়াত নং ৪৭।
ঘুমানোর পূর্বে কিছু আমল রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে আল্লাহতালার নৈকট্য ও অসিল সওয়াব হাসিল করতে পারবেন। একটি দিনের শেষ প্রহর হচ্ছে এশার নামাজ, আর দিনের প্রথম প্রহর হচ্ছে ফজরের নামাজ। প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির জন্য আল্লাহতালা উত্তম আদর্শ সকলের মাঝে প্রেরণ করেছেন তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। এজন্য তিনি ঘুমানোর পূর্বে যে সকল আমল করতেন সেগুলো সকলেরই জানা এবং মানা আবশ্যক।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় যেন জেনে নিন।
ইসলামে ঘুমানোর আগে কিছু নির্দিষ্ট আমল করার বিধান রয়েছে যা শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় বরং আত্মাধিক ভাবে মানুষকে শক্তিশালী করে তোলে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক
- তিন কুল পড়ে ফু দেওয়া অর্থাৎ সূরা ফালাক, সূরা ইখলাস, এবং সূরা নাস তিনটি সুরা একত্রে তিন কুল নামে পরিচিত আর এই সূরাগুলো পাঠ করার পর দুই হাত একত্রিত করে হাতে ফু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মাংস করা।
- আয়াতুল কুরসি পড়া, যারা স্বপ্নের মধ্যে বিভিন্ন খারাপ স্বপ্ন দেখে থাকেন তারা অবশ্যই আয়তন করছি পরে ঘুমাবেন। যার ফলে শয়তান আপনার কাছ থেকে বিরত থাকবে কোন রকম খারাপ স্বপ্ন দেখাতে পারবে না।
- সূরা কাফিরুন পাঠ করা সূরা কাফনের ব্যাপক ফজিলত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ফজিলত হচ্ছে এই সূরা কোন ব্যক্তি পাঠ করলে শিরকের মত মারাত্মক গুনাহ থেকে বিরত থাকবে।
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
অর্থঃআল্লাহুম্মা বিসমিকা আমতু ওয়া আহইয়া।
দোয়াটির অর্থ হচ্ছেঃ হে আল্লাহ আমরা তোমারি নামে নিদ্রা লাভ করছি এবং তোমারই নামে জীবিত বা জাগ্রত হবো। শামায়েলে তিরমিজি হাদিস নম্বর ১৯০।
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন।
এছাড়াও কিছু আমল হলো-
- তাসবিহের আমল করা অর্থাৎ আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার নির্দিষ্ট সংখ্যায় কেউ তাজবির মাধ্যমে পাঠ করলে অসিল সওয়াব পাওয়া যায়।
- সূরা মূল পাঠ করা কেননা এই সূরা আমল করার মাধ্যমে কবরের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- সর্বশেষ দোয়া করা কেননা ঘুমকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয় এজন্য নিজের জন্য নিজের পরিবারের জন্য দোয়া করা।
ঘুমানোর আগে আরও যে সকল বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরী কেননা ঘুমানোর পর অনেকেই বিভিন্ন খারাপ স্বপ্ন অথবা বিভিন্ন ভয় পেয়ে থাকে। এ অবশ্যই এজন্য যে সকল বিষয়গুলো মনে রাখা অবশ্যই জরুরী
- শুদ্ধ পরিষ্কার এবং পবিত্র জায়গায় ঘুমানো।
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে হালকা খাবার খাওয়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- আর অবশ্যই ঘুমানো পূর্বে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস অথবা ফোন ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
- মনকে শান্ত রাখা।
- ডান পাশে শোয়া।
এই আমলগুলো করলে যে সকল ফলাফল পাবেন
- মনকে শান্ত এবং আত্মিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে যার ফলে বিভিন্ন কাজকর্মে বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনোযোগী হবে।
- শরীর মন সুস্থ থাকবে।
- সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার একমাত্র মাধ্যম রাতের ঘুম আর সেই রাতের ঘুম ভালো হবে।
- আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ হবে।
ঘুম থেকে ওঠার দোয়া- ghum theke uthar dua
ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম এবং সর্বোত্তম করনীয় হলো ঘুম থেকে ওঠার দোয়া পাড়া। দোয়াটি হল
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانًا بَعْدَمَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
বাংলা উচ্চারণঃ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
দোয়াটির অর্থ হলোঃ সকল প্রশংসা ওই মহান আল্লাহতালার যিনি আমাদেরকে গভীর নিদ্রার মতো ঘুম দেওয়ার পর আবার নতুন জীবন দান করেছেন।
আরো পড়ুনঃ যৌন শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।
কেননা ঘুমকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনেক ব্যক্তি নিদ্রা অর্থাৎ ঘুম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। তাই ঘুম থেকে জাগার সৌভাগ্য হলে সর্ব প্রথমে এই দোয়াটি পড়া উত্তম। (সহি বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৩২৪ এবং রিয়াদুস সালেহীন-৮১৭ )
ঘুমানোর দোয়ার ফজিলতঃ এই দোয়াটি পড়লে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তার রাত্রিযাপন হবে সুন্দর এবং সর্বোত্তম। তারি সাথে এই দোয়াটি পড়ে ফজরের সালাত জামাতে আদায় করলে ওই ব্যক্তির সারাদিনও ভালো কাটবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৮)
এছাড়াও আরো কিছু আমলসমূহ রয়েছে যেসকল আমলসমূহের মাধ্যমে সারারাত নামাজ পড়ার সওয়াব পাবেন।
ঘুম থেকে উঠে আরো সকল সুন্নত আমলসমূহ
আল্লাহ তায়ালার আমাদের সকলের জন্য উত্তম আদর্শ আমাদের মধ্যে প্রেরিত করেছেন অর্থাৎ সর্বকালের মহামানব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কি করতেন? চলেন জেনে নেওয়া যাক।
একটি ঘটনা হতে পাওয়া যায় যে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সাথে ঘুমানোর সময় অর্থাৎ তার স্ত্রী মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু আনহা এবং তিনি বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লেন এবং আমিও বিছানার প্রশস্ত দিকে শুলাম। এভাবে আমরা ঘুমিয়ে পড়ার পর রাত যখন অর্ধেক হয়ে গেল তার কিছুক্ষণ পরে
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঘুম থেকে জেগে উঠলেন এবং তিনি তার মুখ থেকে ঘুমের ঘুমের প্রাদুভাব হাত দিয়ে সরানোর চেষ্টা করলেন এবং পরবর্তীতে পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের শেষের দশটি আয়াত তেলাওয়াত করলেন। এবং খুব সুন্দর ভাবে উত্তমরূপে অজু করে সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। (বুখারি, হাদিস নং ১৮৩)
মসজিদে যাওয়া অর্থাৎ ফজরের সালাত আদায়ের পূর্বে তিনি আরো কিছু করতেন অর্থাৎ অর্থাৎ ঘুম থেকে ওঠার পর তিনি যে সকল বিষয়ে সতর্ক থাকতেন এবং যে সকল কাজগুলো খুব সুন্দর ভাবে করতেন
ওযু করা বা মুখমন্ডল ভালোভাবে ধৌত করা অর্থাৎ খেয়াল রাখতে হবে যে কোন ভাবে যেন মুখে দুর্গন্ধ না থাকে এবং মুখের মধ্যে যেন তাজা সতেজ অনুভূতি হয়।
- তাহাজ্জুদ নামাজ-রাতের সর্বোত্তম ইবাদত হচ্ছে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা। কারণ তাহাজ্জুদের সালাত আল্লাহতালার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি উত্তম এবং সব থেকে পছন্দনীয় আমল।
- দাঁত মাজা অর্থাৎ মানবদেহের একটি অতি মূল্যবান জিনিস হচ্ছে দাঁত সেটি পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই ঘুম থেকে উঠে দাঁত মেসওয়াক করা সুন্নত এছাড়াও বর্তমান সময়ে অনেকে ব্রাশ করে ব্রাশ করলে হবে তবে মেসওয়াক করা সুন্নাহ।
- ফজরের সালাত আদায় করার পর আল্লাহতালার কাছে দোয়া করা যার ফলে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পার হয়।
- কোরআন তেলাওয়াত করা অর্থাৎ ফজরের সময়ের পর কিছু সময় কোরআন তেলাওয়াত করা সুন্নত এতে মন শান্ত হতে এবং মনের মধ্যে একটি অত্যধিক শক্তি সক্রিয় হয়।
- সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলা ঘুম থেকে উঠে এই তিন কালিমা বলা সুন্নত। এতে আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং শুকরিয়া আদায় করা হয়।
- এবং পরবর্তীতে কারো যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে তাহলে গোসল করতে হবে।
রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম তিনি ঘুম থেকে ওঠার পর কালেমা শাহাদাত পাঠ করতেন।
উচ্চারণঃ আসাদুল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু' এবং এর সাথে আরো পাঠ করতেন সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহি আযীম ওয়া বিহামদিহি আস্তাগফিরুকা ওয়াতুবু ইলাইকা।
অর্থঃ আল্লাহতালা ছাড়া কোন মাবুদ বা ইলা নেই। তিনি এক ও দ্বিতীয় তার কোন শরীক নেই। তার সকল সার্বভৌমত্ব এবং তিনি সর্বোচ্চ সর্বশক্তিমান ও ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা তারই জন্য। তার কোন ইলাহ নেই, হে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিন। (তিরমিজী হাদিস নং৩৪১৪)
যে দুটি আমল করার মাধ্যমে সারারাত ইবাদত করার সওয়াব পাবেন ঘুমিয়ে থাকলেও
হযরত ইবনে আবু আমরা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে তিনি একদা মাগরিবের সালাতের পর হযরত উসমান আফফান রাদিয়াল্লাহু মসজিদে একটি জায়গায় একাকীত্ব হয়ে বসে আছেন। এবং পরবর্তীতে আমি তার কাছে গিয়ে বসি এবং হযরত ওসমান আফফান রাঃ বললেন
তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কাছ থেকে শুনেছেন যে কোন ব্যক্তি যদি এশার সালাত জামাতের সাথে আদায় করে এবং ঘুম থেকে উঠে উত্তম রূপে অজুর সহিত ফজরের সালাত জামাতের সাথে আদায় করল সে যেন সারারাত জেগে ইবাদত করল সুবহানাল্লাহ। সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৫৬।
ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠার সহজ উপায়
অধিকাংশ ব্যক্তি ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠতে পারে না। যার কারণে ফজরের সালাত আদায় করতে পারে না। কিন্তু ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এজন্য সকলের উচিত অতি দ্রুত ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠা।
- প্রথমত বিভিন্ন কারণে দেরিতে ঘুমানোর কারণে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠতে ব্যাহত হবেন। তাই দেরি না করে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া।
- দ্বিতীয়তঃ নিজের মনের মধ্যে ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠার জন্য অসম্ভব প্রবল ইচ্ছা থাকা। কেননা কোন ব্যক্তি যদি ঘুমানোর পূর্বে তার মনের মধ্যে প্রবল ইচ্ছা নিয়ে ঘুমায় যে আমি ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠবো বা উঠতেই হবে আমাকে তাহলে আল্লাহতালা তার প্রবল ইচ্ছার কারণে তাকে সেই সময় উঠতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।
- এবং সর্বশেষ ফজরের সালাত এর গুরুত্ব অনুধাবন করা অর্থাৎ ফজরের সালাতের যে এত গুরুত্ব সে গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাকুলতা থাকা অর্থাৎ কোনভাবে যেন আমার সেই সালাত ছুটে না যায় এমন মনের মধ্যে দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ রাখা।
ঘুম থেকে ওঠার পরে যে সকল বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন
- সময় মতো ঘুম থেকে ওঠা অর্থাৎ ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে ওঠা খুবই জরুরী।
- সদাচরণ অর্থাৎ পরিবার থেকে শুরু করে সকলের সাথে সুন্দর আচার-আচরণ করা।
- দিনের কাজকর্ম সম্পর্কে পরিকল্পনা করা অর্থাৎ সারাদিন আপনি কিভাবে আপনার কাজগুলো করবেন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অর্থাৎ সকালের নাস্তায় স্বাস্থ্য উপযোগী কিছু খাবার গ্রহণ করা।
- ব্যায়াম করা সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরের জন্য প্রত্যাবর্ষকীয় একটি অপরিহার্য কর্ম হচ্ছে ব্যায়াম করা।
উপসংহার-লেখকের শেষ মন্তব্য
ঘুম থেকে উঠে এ সকল সুন্নত আমলসমূহ শুধুমাত্র যে ইসলামিক ধর্মলম্বি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এমন নয় বরং সকল ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির জন্য মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের এগুলো করা অত্যান্ত অপরিহার্য আমল। উপরোক্ত সকল কাজগুলোর মাধ্যমে আপনাদের দিনটিকে আরো সুন্দর ও উৎপাদনশীল করে তুলতে সাহায্য করবে। আশা করব এ সকল তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে। আপনি যদি আরো কোন বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আল্লাহ হাফেজ।
মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url