স্বদেশ প্রেম রচনা সেরা ২০ পয়েন্ট
মাসে ৫০০০০ টাকা উপার্জন করার সেরা উপায় জেনে নিনদেশের বিপদে দেশকে রক্ষার্থে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিগুলোই হচ্ছে দেশপ্রেমের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আপনি যে ব্যক্তি হন না কেন দেশপ্রেম কিংবা দেশাত্মবোধ থাকা আবশ্যক। একটি দেশ তখনই সুসংগঠিত এবং সৌন্দর্যে পরিণত হবে যখন জাতি আদর্শ নাগরীকে পরিণত হবে।
আপনি যদি স্বদেশ প্রেম রচনাটি খুঁজে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা আজকের পোস্টটি যদি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে মর্ডান আইটি আপনাকে নিশ্চয়তা দেয় যে আপনি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পয়েন্ট সমূহ
সূচিপত্র
ভূমিকা
দেশ এবং জাতির দুর্দিনে যখন বিভিন্ন বহিরাগত শত্রুর আক্রমণে দেশ এবং দেশের মানুষ ঠিক তখনই আসে একজন আদর্শ স্বদেশ প্রেমিকের নিজের জীবন বিসর্জনের ভূমিকা। কোন ব্যক্তি যদি দেশ এবং জাতির দুর্দিনে সর্বপ্রথমে এগিয়ে আসার আগে নিজের আত্মরক্ষার চিন্তা-চেতনা মনের ভিতরে রেখে
চলে সে কখনোই নিজেকে এবং দেশকে আত্মরক্ষা করতে পারবেনা। স্বাভাবিকভাবেই একজন ব্যক্তি যখন একটি পরিবারের জন্মগ্রহণ করে, তখন ছোটবেলা থেকে তার পরিবারের মানুষজনদের সাথে বেড়ে উঠতে উঠতে তাদের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। ঠিক তেমনি পরিবারের সাথে যে দেশে
বেড়ে উঠেছে সেই দেশের প্রতিও ভালোবাসা স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়ে যায়। দেশের মাটির অর্থাৎ ধূলিকণা থেকে শুরু করে প্রকৃতির সমস্ত কিছুর সাথে তার একটা আলাদা গভীর ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। এই উক্তিতে স্বদেশপ্রেমী ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বলেছেন-
''সে তোমায় হৃদয়ে রেখেছে
থাকিয়া মায়ের কোলে
সন্তানে জননী ভোলে
কে কোথায় এমন দেখেছ''
দেশের প্রতি ভালবাসা কোন ব্যক্তি অস্বীকার করতে পারবে না। কেননা দেশ একজন ব্যক্তিকে ফ্রিতে অনেক কিছুই দিয়ে থাকে, যার মূল্য নির্ধারণ করা যায় না। একটি শিশু যেমন মায়ের কোলে খুব সুন্দরভাবে আশ্রিত থাকে ঠিক তেমনি একটি দেশ ও তার নাগরিকদের এভাবে গুছিয়ে রাখে। এই উক্তিতে কবি আবারও বলেন-
''মিছা মণি মুক্তা হেম,
স্বদেশের প্রিয় প্রেম,
তার চেয়ে রত্ন নাই আর"
কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তার এই কবিতার উক্তিতে বুঝিয়েছেন পৃথিবীর সমস্ত কিছুই যেন দেশের কাছে অনর্থক মনে হয়। তিনি আরো বুঝিয়েছেন দেশ হচ্ছে মণিমুক্তা যেমন অধিক দামে সেই অধিক দামের থেকেও স্বদেশ যেন অধিক প্রিয়। এই স্বদেশ থেকে সব কিছুই যেন মূল্যহীন।
স্বদেশপ্রেম কি
স্বদেশ প্রেমের উক্তিতে বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিখ্যাত সংগীতের মাধ্যমে দেশাত্মবোধ প্রকাশ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সংগীতের এক উক্তিতে বলেছেন-
"ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর তোমাতে বিশ্ব মায়ের আঁচল পাতা
ওগো মা তোমার কোলে জন্ম আমার মরণ তোমার বুকে"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত এই বিখ্যাত সংগীত এখন দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত স্বদেশ প্রেম কি এবং স্বদেশ প্রেমের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় কবিদের বিভিন্ন কবিতা এবং সংগীতের মাধ্যমে। বিভিন্ন কবি তাদের কাব্য ভাষা এবং সংগীতের মাধ্যমে সর্বত্র জনগণদের এটাই বুঝিয়েছেন যে দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকা একজন মানুষ হিসাবে কতটুকু প্রয়োজন।
"স্বদেশের প্রেম যত,
সেই মাত্র অবগত,
বিদেশেতে অধিবাস যার"
কবিতার এই উক্তিতে দেশের প্রতি ভালোবাসার প্রকৃত অনুভব খুঁজে পাই যে ব্যক্তি বিদেশে অধিবাস রত রয়েছে। সাধারণত অর্থে দেশের প্রতি অনুগত্য, দেশের বিভিন্ন বিপদাপদে নিজেকে বিলিয়ে দিতে মনের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ তৈরি হয় না। আর এটাকেই দেশপ্রেম বলে। কবি ভাষায় দেশ ছাড়া অন্যত্র কোথাও সেই
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম করুন প্রতিদিন ৩০০০ টাকা
সুখ খুঁজে পাবে নহে তুমি। সাধারণত দেশপ্রেমের জন্ম হয় দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি যে ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টি হয় তার থেকেই। স্বাভাবিক অর্থেই প্রকৃতির অলৌকিক নিয়ম অনুযায়ী দেশের জন্মগ্রহণ করার পর থেকে শুরু করে একটা সময় পর খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়, যা দেশ প্রেম বা স্বদেশপ্রেম নামে রূপ লাভ করে।
স্বদেশ প্রেমের স্বরূপ
"ওমা অনেক তোমার খেয়েছি গো, অনেক নিয়েছি মা
তবু জানি নে-যে কি বা তোমায় দিয়েছি মা?"
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোকজন দেশের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত কতই না কিছু গ্রহণ করেই যাচ্ছে, আসলে সেভাবে দেশকে দেওয়ার মতো কিছু থাকে না। দেশের বিপদে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে দেশকে রক্ষা করা হচ্ছে দেশকে দেয়ার মত একমাত্র ভালোবাসা।এছাড়াও দেশের
প্রতি ভালোবাসা এবং দেশের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হওয়া হচ্ছে স্বদেশপ্রেমের লক্ষণ। একজন শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সর্বপ্রথমে তার মা এবং দেশের মাটি এই দুটি জিনিসের সঙ্গে পরিচিত লাভ করে। ঠিক একই সময়ে মায়ের কোলে যেমন আশ্রিত হয়ে থাকে ঠিক তেমনি দেশের মাটি,
ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার মাধ্যমেই তার কাছে অধিক প্রিয় হয়ে ওঠে। এজন্য অনেকাংশে দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কবির কাব্য ভাষা এবং সাংস্কৃতিতে দেশকে মা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
স্বদেশপ্রেমের উৎস
প্রকৃত অর্থে কোনো মানুষই অস্বীকারোক্তি প্রকাশ করতে পারবে না যে সে নিজেকে ভালোবাসে না। জন্মগ্রহণের পর থেকে আস্তে আস্তে মায়ের কোল থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত কিছু জানার আর্তনাদ জাগ্রত হয়। আর এই সমস্ত কিছুর সাথে পরিচিতি লাভ করার পর দেশের মাটি, পানি, বায়ু
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জেনে নিন
থেকে শুরু করে সমগ্র প্রকৃতির সাথে জড়িয়ে থাকা দেশের প্রতি নিজের অজান্তে একটি আকর্ষণ কাজ করে আর মূলত এটাই হচ্ছে স্বদেশপ্রেমের মূল উৎস। কবিতার ভাষায় দেশের সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামল, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল সাগর-মহাসাগর সমস্ত কিছু একজন মানুষকে দেশপ্রেমী হতে উদ্বুদ্ধ করে। এরই উক্তিতে কবি বলেছেন-
সে তোমায় হৃদয়ে রেখেছে।
থাকিয়া মায়ের কোলে,
সন্তানে জননী ভোলে,
কে কোথায় এমন দেখেছে॥
স্বদেশ প্রেমের বৈশিষ্ট্য
স্বদেশপ্রেমের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রকৃতির এই আশ্রয়স্থল। কেননা প্রত্যেক জীবের বসবাসের জন্য একটি আবাসস্থল প্রয়োজন, পাখির জন্য নীড়, গরুর জন্য গোয়াল, এবং বনের রাজা বাঘের জন্য গুহা ইত্যাদি। আর মূলত স্বদেশপ্রেমের সৃষ্টি এই আবাসস্থল বা আশ্রয়স্থল থেকে এবং সেই
সাথে স্বদেশ প্রেম অর্থবহ হিসাবের রূপ লাভ পাই। দেশপ্রেমের অন্যতম আরেক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সম্পদ রক্ষা করা। কেননা দেশের কল্যাণের কথা ভেবে দেশের সম্পদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য রেখে কাজ করলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে। এজন্য কিভাবে দেশের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং
এমন কোন কাজের সাথে জড়িত না থাকা যে সকল কাজের মাধ্যমে দেশের সম্পদের ক্ষতি সাধিত হবে। এজন্য দেশের বিভিন্ন সম্পদ দেশপ্রেমের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। প্রত্যেক মানুষেরই উচিত নিজের শক্তিকে, বুদ্ধিকে দেশের জন্য ব্যয় করা বা দেশের স্বার্থের জন্য ব্যয় করা। এজন্য বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-
"আমার জনম গেল বৃথা কাজে,
আমি কাটানু দিন ঘরের মাঝে--
তুমি বৃথা আমায় শক্তি দিলে শক্তিদাতা"
স্বদেশ প্রেমের অভিব্যক্তি
সন্তানের কাছ থেকে মা দূরে থাকলে যেমন মায়ের ভালোবাসাটা অনুভব করতে পারা ঠিক তেমনি কোন ব্যক্তি যখন তার স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে থাকে তখন তার দেশের প্রকৃত মর্ম এবং ভালবাসার পূর্ণ বিকাশ ঘটে। এছাড়াও উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে মাছকে যেমন জল থেকে আলাদা করলে সে ছটফট করে ঠিক তেমনি দেশের প্রতি ওই দেশের মানুষের ভালবাসাটা মাছের মত।
আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনা সমস্ত কিছু জেনে নেন।
দেশের কোন বিপদ কিংবা দুর্দিন আসলেই তার মায়াবী জননের অশ্রু স্নিগ্ধ চোখ দেখে হৃদয়টা তখন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। আর ঠিক তখনই সকলেই সেই মায়ের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে। যার উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে স্বাধীনতা গামী মহান মুক্তিযোদ্ধারা আলোচিত। বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির স্বদেশপ্রেমের অভিব্যক্তি কবি এই উক্তি করেছেন-
"স্বদেশের প্রেম যত,
সেই মাত্র অবগত,
বিদেশেতে অধিবাস যার"
ব্যক্তি জীবনে স্বদেশ প্রেমের প্রভাব
দেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে জন্ম হয় দেশ প্রেম আর এই দেশপ্রেমের প্রভাবে একজন মানুষ সুনাগরিক হিসেবে পরিচিত লাভ করে। একজন দেশপ্রেমী ব্যক্তি কখনোই তার দেশের বিপদে এবং অন্যান্য নাগরিকের বিপদে সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতা দেখাতে পারবে না। কেননা দেশপ্রেমী সে নয়
যে শুধুমাত্র দেশকে ভালবাসবে দেশের মানুষকে নয়, দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসার সমন্বয়ে গঠিত হয় দেশপ্রেম আর এই দেশপ্রেম থেকে একজন আদর্শ নাগরিক এবং আদর্শ দেশপ্রেমিক তৈরি হয়। স্বদেশ প্রেমের অন্যতম একটি প্রভাব হচ্ছে সুসংগঠিত জাতি। এরই উক্তিতে কবি বলেছেন-
"স্বদেশের শাস্ত্রমতে,
চল সত্য ধর্মপথে,
সুখে কর জ্ঞান আলোচন"
স্বদেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ
যে স্মৃতি মাখাময় মাটিতে বেড়ে ওঠা, যে মাটির গহব্বরে লুকিয়ে আছে জাতির নাড়ী পোতা, এবং বিভিন্ন ধরনের ক্লান্তি, অবসাদ এলে যে বুকে রাখি মাথা, প্রকৃত অর্থে এটাই তো হচ্ছে স্বদেশ , আর এগুলোর প্রতি গভীর অনুভব
আরো পড়ুনঃ ১৯ টাকায় ৫০০ এসএমএস প্যাকেজ এর কোড জেনে নিন
আকর্ষণ করা হচ্ছে স্বদেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সাধারণ অর্থে প্রকৃতিকে ভালোবাসার মাধ্যমেই প্রকাশিত হয় একজন দেশপ্রেমীর বহিঃপ্রকাশ কেননা দেশের ভালোবাসা বলতে সংগ্রহ সৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। এরই উক্তিতে কবি বলেছেন-
"স্বদেশের উপকারে নেই যার মন
কে বলে মানুষ তারে, পশু সে জন"
অর্থাৎ এই উক্তি দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে যে কোন ব্যক্তি যদি স্বদেশের উপকারে নিজেকে অতিবাহিত না করতে পারে তাহলে তাকে পশুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। জন্মের পর থেকে একজন মা যেমন তার সন্তানকে আগলে রাখে ঠিক তেমনি মায়ের সাথে সাথে একটি দেশ ও একজন মানুষকে আশ্রয়স্থল থেকে শুরু করে অনেক কিছু দিয়ে
আরো পড়ুনঃ রোনালদো কোন ধর্ম অনুসরণ করে জেনে নিন।
থাকে যার ঋণ কখনোই শোধ করার নয়। এজন্য দেশকেও মায়ের নামে অভিহিত করা হয়েছে। এ পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে যেই ব্যক্তি যেই দেশে জন্মগ্রহণ করেছে যে দেশের আলো বাতাস থেকে শুরু করে সমগ্র কিছু উপভোগ করেছে সেই দেশটি তার কাছে সবথেকে সেরা। এরই উক্তিতে একজন নেপালিয়ান ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন-
My Country is my Country, Right or worng.
স্বদেশ প্রেমের তাৎপর্য
ধর্ম হচ্ছে একজন ব্যক্তির একটি মহৎ গুণ কেননা কোন ব্যক্তি যদি ধর্মের পথে নিজেকে অতিবাহিত করে তাহলে সে আশেপাশে অবস্থানরত দেশের মানুষের ভালো-মন্দে নিজেকে এগিয়ে দিতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব করবে না। যার ফলে একটি সভ্য জাতি এবং সুসংগঠিত দেশ গঠিত হবে। ইসলাম ধর্মে দেশপ্রেম
সম্পর্কে বলা হয়েছে দেশপ্রেম হচ্ছে ঈমানের অন্যতম একটি অঙ্গ। দেশের জন্য যদি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হয় তারপরেও তা করা আবশ্যক। এজন্য ধর্মের পথে চললে মনের গভীরে খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশপ্রেমীত্ব লাভ করে। সমগ্র বিশ্বের এক একটি অংশ হচ্ছে দেশ খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশকে ভালোবাসা মানে সংগ্রহ বিশ্বকে ভালোবাসা,
আরে একে অপরের ভালোবাসা দিয়ে আজকের সমগ্র বিশ্ব সুসংগঠিত রয়েছে। যখনই কোন ব্যক্তির নিজের আত্ম জীবনের থেকে স্বদেশ প্রেমের প্রতি ভালবাসা অধিক হবে তখনই স্বদেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ প্রকৃত রূপ লাভ করবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিখ্যাত গোল্ড স্মিথ অভিহিত করেছেন-
The patriots boast were wine room. His best Country is all homes
দেশপ্রেমের উগ্রতা
যেই স্বদেশের জাতি দেশাত্মবোধের থেকে নিজের ব্যক্তিত্ববোধ বেশি, সে জাতি এবং দেশ যে কোন সময় বিপর্যয়ের সম্মুখীন, কেননা একটি দেশ তখনই সুসংগঠিত যখন সেই দেশের জনগণ থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত কিছুর মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা এবং ভালোবাসা বিরাজ করবে। যখনই দেশের প্রতি উগ্রতা বহিঃপ্রকাশ ঘটবে তখনই সে দেশের জনগণের পর্যায়ে ঘটবে।
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন।
বহিরাগত শক্তির কাছে কোন কিছুর লোভ কিংবা কোন কিছুর বিনিময়ে দেশের প্রতি আপস না করা। কেননা কবি বলেছেন মনি মুক্তার চেয়েও যেন অধিক দামি হচ্ছে স্বদেশ, কেননা পৃথিবীতে যতই মূল্যবান জিনিস থাকে না কেন নিজের মাতৃভূমির মূল্য সর্বাধিক।
আরো পড়ুনঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৭টি উপায়ে জেনে নিন।
এক বিখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তিনি পথভ্রষ্ট হয়ে বিদেশে জীবন যাপন করেন এবং সেখানকার ভাষাভিত্তি নিজের জীবনে ধারণ করেন। কিন্তু কিছুটা সময় যাওয়ার পর মাইকেল মধুসূদন দেখতে পায় তার দেশের মতো ভালোবাসা অনুভব করতে পারছে না। বিদেশে তার হতাশা, গ্লানি এবং ব্যর্থতা তাকে জর্জরিত করে ফেলে। এজন্য বলা হয় যে
"মাছ তখনই তার ভালোবাসা অনুভব করে
যখন তাকে পানি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।"
স্বদেশ প্রেমের প্রয়োজনীয়তা
দেশের সার্বিক উন্নয়নে এবং দেশকে বহিরাগত শত্রুর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে একজন দেশপ্রেমিকের বিকল্প নেই। কেননা একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক তার শ্রম এবং মেধা দিয়ে দেশের বিভিন্ন সম্পদ সমৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে। যে দেশ প্রেমিক দেশের বিপদে নিজের আত্মনিয়ন্ত্রিত না হয়ে আত্মত্যাগী হবে অর্থাৎ যে দেশপ্রেমী নিজের থেকে নিজের দেশের রক্ষার্থে এগিয়ে যাবে।
স্বদেশ প্রেমের দৃষ্টান্ত
দেশের প্রতি মায়া ও ভালবাসা স্বদেশ প্রেমের অন্যতম একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কেননা পৃথিবী শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেক মানুষ আজও সকলের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, দেশকে বাঁচাতে গিয়ে বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধারা আজ সকলের কাছে চিরস্মরণীয় এছাড়াও ইসলাম ধর্মের
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম, বিভিন্ন কাফেরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহ তালার আদেশে একটা সময় পর তাকে দেশ ছেড়ে অর্থাৎ মক্কা ছেড়ে মদীনায় চলে যেতে হয়েছিল।
কিন্তু যাওয়ার সময় তিনি বারবার পিছন ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং দু চোখ অশ্রুসিদ্ধ হয়ে গেছিল, জন্মভূমির ভালোবাসায় স্বদেশকে ছেড়ে অন্য দেশে যাইতে চাচ্ছিলেন না। বিভিন্ন ব্যক্তি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘটনা থেকে স্বদেশ প্রেমের প্রকৃত দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়।
জীবনকে ভালবাসি সত্যি,
কিন্তু দেশের থেকে বেশি নয়
স্বদেশ প্রেমের অনুভূতি
দেশের প্রতি এবং দেশের উন্নতির স্বার্থে দেশের সম্পদকে রক্ষার লক্ষ্যে পরিশ্রমী হওয়া। কেননা দেশের বিভিন্ন কৃষকের ভালোবাসার মায়া দিয়ে ফসল ফলানো, যে ফসল দেশের মানুষের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের সম্পদ বাইরে রপ্তানি করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি উন্নতি সাধনে বাস্তবায়িত হয়।
স্বদেশ প্রেমের অনুভূতি এবং সব থেকে গৌরবের বিষয় হচ্ছে একজন দেশপ্রেমী মানুষ সৎ নির্ভীক এবং উদার মনের হয়ে থাকে তার মধ্যে কোন বিরহ, হিংসা-বিদ্বেষ থাকে না। এছাড়াও অপরদিকে কোন জাতি কিংবা দেশের মানুষ যদি দায়িত্ব বিবেক সম্পন্নহীন হয় তাহলে সে সকল অন্যায় ও পাপ
কাজে লিপ্ত হবে যার ফলে একে অপরের মধ্যে বিরহ, হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হবে একটা সময় পর সেই জাতি ধ্বংসলীলায় পরিনত হবে তার কোন অস্তিত্ব অর্থাৎ সে নিজেকে এবং তার দেশকে ধ্বংসে পরিণত করবে। এজন্য স্বদেশপ্রেমী হওয়া। বিভিন্ন কবিরা তাদের কাব্য ভাষা দিয়ে জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
"আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে এই মন,
শ্যামল কমল পরশ ছাড়া নেই কিছু প্রয়োজন"
দেশপ্রেমের মহিমা
মহিমা, মায়া, ভালোবাসা যা অদৃশ্য আকর্ষণ যা ধরাছোঁয়ার বাইরে। একজন প্রকৃতপক্ষের দেশপ্রেমিক তার দেশকে অদৃশ্য ভালোবাসার মায়াতে বেঁধে রাখার কারণে তার দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বাস্তবায়িত হবে।
যার ফলে দেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমৃত লাভ করবে। প্রকৃত সুখ এবং শান্তির শুধুমাত্র একজন দেশপ্রেমী অনুভব করতে পারে। কেননা বিখ্যাত ভার্জিলের উক্তিতে প্রকাশিত হয়েছে-
"সেই ব্যক্তি সবচেয়ে সুখী মানুষ,
যে নিজের দেশকে স্বর্গের মতো ভালোবাসে"
ছাত্র জীবনের স্বদেশপ্রেমের শিক্ষা
দেশের ভবিষ্যৎ কর্ম ধারায় ছাত্র জীবনের ভূমিকা অত্যাধিক। কেননা পৃথিবী শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি তারা ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির মধ্যে পদার্পণ করেছেন এবং দেশের স্বার্থে প্রতিনিয়ত নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন যার কারণে আজকে তারা চিরস্মরণীয় হয়েছে সারা পৃথিবীতে। এজন্য ছাত্র
জীবনে সবথেকে মূল্যবান সময় হচ্ছে স্বদেশের প্রতি আন্তরিকত্ব হয়ে একজন ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি সুনাগরীকে পরিণত হওয়া। ছাত্র জীবনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তার পাশাপাশি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য সকলের জন্য সার্বিক উন্নয়নে সব সময় পরিকল্পিত থাকা এবং কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করা।
I Love thee still my country
যার ফলে ছাত্র জীবন এবং একজন স্বদেশপ্রেমী হিসেবে নিজেকে বাস্তবায়িত করতে সফল হবে।
সাহিত্যের আয়নায় স্বদেশপ্রেম
বিগত দিনে এবং বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কবি বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছে এই স্বদেশ প্রেমের প্রতি সাহিত্যিক ভাষায় ভালোবাসা প্রকাশ করার মাধ্যমে। দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আলোকিত করার মাধ্যমে তারা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কৃত হয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে বিশ্ব বিখ্যাত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ও আমার দেশের মাটি অর্থাৎ দেশাত্মবোধ একটি সংগীত নিয়ে সাহিত্যের আয়নায় স্বদেশপ্রেমকে তুলে ধরেছেন, এবং কাজী নজরুল ইসলাম তার বিদ্রোহী কবিতার মাধ্যমে এছাড়াও জীবনানন্দ দাশ, মেঘনাদ ইত্যাদি আরো অনেকেই অনেক কিছু করে স্বদেশ আজকে সাহিত্যের আয়নায় উজ্জ্বল নক্ষত্র।
"বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ দলে
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটেকার জলে
দুগ্ধশ্রুত রুপি তুমি জন্মভূমি স্থানে"
বাঙালির স্বদেশ প্রেম
বাঙালির কথা উঠলেই সর্বপ্রথমে উঠে আসে বাংলাদেশের কথা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকদের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষার্থে হাজার হাজার বাঙালি নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে নিজের স্বদেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন।
স্বাধীনতার ঐ ঐতিহাসিক যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অবদান রয়েছে, তার মধ্যে অসংখ্য বাঙালি রয়েছিল। দেশের সামান্য ক্ষতিতে সর্বস্তরের জনগণ বর্জ্য কন্ঠে গর্জিত হয়ে ওঠে তার দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে। এই উক্তিতে কবি বলেছেন-
"ভূমিতে করিয়ে বাস,
ঘুমেতে পুরাও আশ,
জাগিলে না দিবা বিভাবরী।"
স্বদেশপ্রেমের উপায়
সাধারণত দেশকে ভালোবাসা এবং একজন দেশপ্রেমী হওয়ার জন্য তেমন কোন নির্দিষ্ট উপায় আকাঙ্ক্ষা নেই। যে কোন ব্যক্তি তার জন্মভূমি থেকে বেড়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন সম্পদ ভোগ করে খুব সাধারণভাবেই দেশের প্রতি ভালোবাসা মায়া জন্মাতে পারে।
কিন্তু স্বদেশপ্রেমী হওয়ার সর্বপ্রথমে একজন সুনাগরিক এবং আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে হবে। কেননা একজন আদর্শ মানুষই পারে দেশ এবং জাতির সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে। এজন্য প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত সে যে কর্মে নিয়োজিত হোক না কেন
সেই কর্মে অবস্থান করে নিজেকে আদর্শবান করে একজন আদর্শ দেশপ্রেমীকে পরিণত হওয়া। কেননা দেশের সার্বিক উন্নয়নের ফলেই দেশ বিশ্ব সভ্যতায় অবদান রাখতে পারবে যার কারণে দেশের সাথে সাথে ওই দেশপ্রেমিক ও সকলের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
স্বদেশ প্রেমের শিক্ষা গ্রহণ করা
শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়স কিংবা ব্যক্তি হওয়া জরুরি নয় যে কোন বয়সের মানুষ স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা দিতে সক্ষম। বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রমজীবী মানুষ তার শ্রমের পাশাপাশি নিজের দেশের উন্নয়নে পরিকল্পতো হওয়া,
ছাত্ররা ছাত্র জীবনে দেশপ্রেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ হওয়া, এবং বিভিন্ন চাকরিজীবীরা চাকরি করার পাশাপাশি নিজের দেশের জন্য এবং দেশের জাতির জন্য একজন আদর্শ দেশ প্রেমিক হওয়া। কেননা একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক দেশের সার্বিক মঙ্গল -কামী।
রাজনীতিতে স্বদেশ প্রেম
একটি দেশ সম্পূর্ণ পরিচালিত হয় রাজনীতির মাধ্যমে, এজন্য রাজনীতিতে অবশ্যই দেশের স্বার্থ এবং দেশপ্রেম অন্তর্নিহিত থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উন্নত সমৃদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়নের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে তাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেশপ্রেমী নামক গুনটি বিদ্যমান। কেননা এই গুনটি ছাড়া রাজনীতি অসম্পূর্ণ।
এমন রাজনীতি করা ঠিক না যেটা দেশ এবং দেশের মানুষের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ জন্ম লাভ করে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রাজনীতিবিদ তারা তাদের ক্ষমতা প্রকাশের জন্য রাজনীতি করে থাকে এ সকল রাজনীতিবিদদের কাছে সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত বিপর্যয়ের সম্মুখীন, এজন্য এমন রাজনীতিবিদদের থেকে দূরে থাকা। এরই উক্তিতে বিখ্যাত আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন
How long ahall we tolerate the politician's hunger for power
অন্ধ স্বদেশপ্রেমের পরিণতি
বিভিন্ন জ্ঞানীবর্গ এবং ইতিহাসের স্মরণীয় ব্যক্তিদের উক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত কোন কিছুই মঙ্গল কাম্য নহে। ঠিক তেমনি অন্ধ স্বদেশপ্রেম কখনোই দেশ এবং জাতির জন্য মঙ্গল কিছু বয়ে আনতে পারে না। বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে যদি অন্ধ স্বদেশপ্রেম তৈরি হয় তাহলে তারা দেশ নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে জর্জরিত হবে।
যার ফলে দেশের বিভিন্ন সম্পদের ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা নিজেকে এবং নিজের দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বিগত দ্বীনসময়ে দিকে তাকালে দেখা যায় যে অকালে যে সব দেশসমূহ আজকে ধ্বংসে পরিণত হয়েছে সেগুলোর অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে অন্ধ দেশপ্রেম এবং কিছুজ্ঞানহীন ব্যক্তিবর্গের কাজকর্মের প্রভাবে। এজন্য দেশের কথা ভেবে এগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
উপসংহার
দেশ প্রেম যা অদৃশ্য শক্তি যা প্রতিটি আদর্শ নাগরিকের থাকা অপরিহার্য এবং এই গুণটি হচ্ছে দেশের জন্য অমূল্য সম্পদ। একজন সুনাগরিক হিসেবে দেশ এবং জাতির জন্য যদি উপকারে না আসতে পারলেও এমন কিছু না করা যা দেশ এবং জাতিকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়। এবং কোন নাগরিক
কিংবা কোন ব্যক্তি যদি পারে তাহলে দেশের ক্ষতি না করার পাশাপাশি একজন পরিশ্রমী দেশপ্রেমী হওয়া। বিশ্বকে সুন্দর এবং নিরাপদ রাখতে প্রতিটি দেশকে উন্নয়নের সমৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। একটি দেশ তখনই উন্নয়নে সমৃদ্ধি করবে যখন সে দেশের নাগরিক নিজের থেকে নিজের দেশকে বেশি ভালবাসবে।
এই পোস্টটি সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটি শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মার্ক নিশ্চিত এ স্বদেশপ্রেম রচনা সম্বন্ধে সমস্ত কিছু।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন। এবং আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আর এইরকম তথ্য এবং জ্ঞানমূলক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল নিউজ ফলো করুন।কেননা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্য এবং জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url