সেরা ১৪টি উপায়ে ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০- ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ফ্রি টাকা ইনকাম প্রতিদিন ৩ হাজারবর্তমান সময়ে কে না চায় ঘরে বসে ইনকাম করতে। কোন ব্যক্তি যদি ঘরে বসে থেকেই টাকা ইনকাম করতে পারে তাহলে আসলেই বাইরে এত পরিশ্রম কিংবা দরাদরি করার কোন দরকার আছে কি? তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে আসলেই কি ঘরে বসে থেকে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারব? মডার্ন আইটি আপনাকে আজকের পোস্টের মাধ্যমে ১০০% নিশ্চয়তা দেয় যে
সেরা-১৪টি-উপায়ে-ঘরে-বসে-আয়-করুন-১৫০০০- ২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে
আপনি অবশ্যই ঘরে বসে থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সুতরাং মডার্ন আইটির দেখানো পথে আপনি যদি নিজেকে অতিবাহিত করতে পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসে থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

পোস্টসূচিপত্রঃ 

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০- ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে-মূলভাব

আর নয় হতাশা আর নয় দুশ্চিন্তা কেননা আপনিও আর বাকিদের মত ঘরে বসে থেকে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। হয়তো অবাক হতে পারে কিন্তু অবশ্যই আপনিও

ঘরে বসে থেকে সবার মত আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে আপনি ঘরে বসে থেকে একজন চাকরিজীবী থেকে বেশি ইনকাম করবেন।

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০- ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে 

প্রত্যেক ব্যক্তি ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন উপায়ে তারা চাকরি না করেও একজন চাকরিজীবী থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। ঘরে বসে থেকে আয় করার অনেকগুলো উপায় বা মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু এখানে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে নিচে অনেকগুলো উপায় 


অর্থাৎ যে সকল মাধ্যম থেকে আপনি ঘরে বসে মোটা অংকের টাকা আয় করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে আপনি সমস্ত উপায় গুলো ভালোভাবে জানবেন এবং আপনি কোন উপায়ে কাজ করলে নিজেকে 

প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন সেটা আপনাকে বেছে নিতে হবে। হতাশা কিংবা টেনশনের কিছু নেই কেননা খুব সহজেই সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার উপায় দেখানো হয়েছে 


আপনি ও আর বাকিদের মতো ঘরে বসে থেকে খুব সহজেই লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নিন সেরা ১৪টি উপায়ে ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০- ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে কিভাবে উপার্জন করবেন? 
  1. ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে
  2. ইউটিউবিং করে-ইউটিউবার হয়ে
  3. ব্লগিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে বা ফ্রিল্যান্সিং করে
  4. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে
  5. আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে
  6. ড্রপ শিপিং এর বিজনেস করে
  7. অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের -ফলের ব্যবসা করে
  8. বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে
  9. গ্রাফিক ডিজাইন করে
  10. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  11. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ফ্রিল্যান্সিং করে
  12. সিপিএ মার্কেটিং করে
  13. বিভিন্ন ধরনের বড়সড়ো নার্সারি কিংবা বাগান সম্পর্কিত ব্যবসা করে
  14. অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করে
উপরোক্ত উপায়সমূহ থেকে কিভাবে উপার্জন করবেন সেই সমস্ত কিছু পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

১। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে-কনটেন্ট ক্রিয়েটর

এই আধুনিক সময়ের যুগে facebook ব্যবহার করে না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। প্রত্যেক ব্যক্তি দিনের অধিকাংশ সময় এই ফেসবুকের পিছনে ব্যয় করে থাকে। আপনি নিজেও হয়তো ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকবেন। 


বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ অথবা কাজকামের অভিজ্ঞতা প্রতিনিয়ত ফেসবুকে ভিডিও করে আপলোড করে থাকে। এবং দেখা যায় মাসে শেষে ফেসবুক থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খুব সহজে ইনকাম করে ফেলে। ঘরে বসে থেকেই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করেই সেটা পেয়ে যাচ্ছে।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনি কিভাবে এই কাজটি শুরু করবেন?

আপনি যদি এই কাজটি শুরু করতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে আপনাকে আপনার অবশ্যই একটি ফোন রয়েছে সে ফোন দিয়ে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে নিতে হবে। এবং সেই পেজে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করবেন। 


এখন প্রশ্ন হতে পারে আমি কিসের ভিডিও করব? ফেসবুকে ঢুকলে দেখতে পাবেন যে যেসব ব্যক্তিরা ভিডিও করে তারা কোথায় যাচ্ছে কিংবা কোন জায়গায় কোন ঘটনা ঘটেছে সমস্ত কিছু ভিডিও আপলোড করে থাকে আপনিও ওদের ভিডিও দেখে ওদের মতো কিছু একটা থেকে শুরু করেন 

দেখবেন আপনিও তাদের মত এগিয়ে যাবেন এবং এভাবে ভিডিও আপলোড করতে করতে একটা সময় গিয়ে আপনার ফেসবুক পেজকে মনিটাইজেশন অন করতে হবে তাহলে আপনার আর্নিং শুরু হয়ে যাবে শুধু তাই নয় মাস শেষে ঘরে বসে থেকে ১৫-২০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করবেন। 

২। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অর্থাৎ ইউটিউবার হয়ে

সাধারণত ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের গান শোনার জন্য আপনারা যান। তাহলে আপনার এখানে প্রশ্ন হতে পারে যে আমি যদি গান গাইতে না পারি তাহলে আমি ইউটিউবে কি ভিডিও আপলোড করব? 


ইউটিউব থেকে সাধারণত দুইটি উপায়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রথমত আপনি যদি গান করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের গান করে ওই গানের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে। 

দ্বিতীয়ত আপনি যদি গান গাইতে নাও পারেন তারপরও ইউটিউবে ঢুকলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন ধরনের ফানি ভিডিও কিংবা ফেসবুকের মত আরো অনেক ভিডিও দেখতে পাবেন, এজন্য আপনি এখান থেকে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে ভিডিও করতে পারেন। 


Youtube এ কিছু শর্ত রয়েছে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে Subscriber এবং ওয়াচ টাইম দেওয়া থাকে যেটি পূরণ হয়ে গেলে আপনি ইউটিউবে মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন। যার ফলে আপনি ইউটিউব থেকেও প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন 

ব্যক্তি এই ইউটিউবের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে প্রতিনিয়ত অনেক টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। তাহলে ভাবছেন কি ইউটিউবে যান আর আপনার কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি চ্যানেল তৈরি করুন। আর সেই চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে থাকুন। 

কিন্তু মনে রাখবেন কারো ভিডিও নিয়ে আপলোড করবেন না। নিজের তৈরিকৃত ভিডিও আপলোড করবেন অন্যথায় আপনি এই পথ থেকে নিজেকে সফল করে উঠতে পারবেন না।

৩। ব্লগিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং করে বা ফ্রিল্যান্সিং করে

আজকাল প্রায় সবাই এই ফ্রিল্যান্সিং নামটির সাথে অধিক পরিচিত কিন্তু এটি আসলে কি? এখান থেকে কিভাবে ইনকাম করে? এগুলো সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই তেমন একটা জানেনা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এখান থেকে মানুষ কিভাবে ইনকাম করে আর আপনি বা কিভাবে ইনকাম করবেন?


বিভিন্ন ব্যক্তি এই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিমাসে ২-১ লাখ টাকা খুব সহজে ইনকাম করে যাচ্ছে। হয়তো অবাক হবেন কিন্তু বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ব্যক্তি এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কর্মরত রয়েছে। 

এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন হতে পারে যে এই ডিজিটাল মার্কেটিং বা ব্লগিং এগুলো কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং বা ব্লগিং হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি অংশ। এখান থেকে আপনি যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথমে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে একটি কোর্স করতে হবে। এর জন্য আপনার অবশ্যই একটি ফোন বা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। 


এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ডেভেলপিং এর কাজ শিখতে হবে। আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকবে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং জ্ঞানমূলক অর্থাৎ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে হয় আর এখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল আপলোড করতে হয়। 

আর সে আর্টিকেলের মাধ্যমে গুগল থেকে আপনি, গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে প্রতি মাসে বিশ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন, অনেক সময় এর বেশিও ইনকাম হয়ে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৪। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের -ফলের ব্যবসা করে

ঘরে বসে থেকে আয় করার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে এই অনলাইন মার্কেটিং টা কি? অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে মনে করুন কোন এক ব্যক্তি তার বিভিন্ন ধরনের ফলের দোকান রয়েছে। ওই ব্যক্তি কি করবে আশেপাশে যে সকল মানুষ রয়েছে শুধুমাত্র তারাই ওই ফলমূল গুলো ক্রয় করতে পারবে। 

কিন্তু আপনি যদি এই ফলগুলোকে ফলের কোয়ালিটি, এবং ফলের দাম, এগুলো নিয়ে যদি অনলাইনে পোস্ট করেন। তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি চাইলে সারা বাংলাদেশে এই ফলগুলো সেল করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে অনলাইন মার্কেটিং। 


এখানে শুধুমাত্র ফলের উদাহরণই দেওয়া হয়েছে আপনি চাইলে শুধুমাত্র ফলই না আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র অনলাইন এর মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এই অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে অনেক ব্যক্তি 

বাইরে না বের হয়ে ঘরে বসে থেকেই মাস শেষে একটি মোটা অংকের টাকা খুব সহজেই আয় ফেলছে। এজন্য ভাবছেন কি? হয়তো কারো দোকানে গিয়ে তার জিনিসপত্রগুলো এভাবে মার্কেটিং করে, অথবা আপনি এভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কিনে সেগুলাকে বাইরে বিভিন্ন দামে সেল করতে পারেন।

৫। বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির ফটোগ্রাফি করে অর্থাৎ ছবি বিক্রি করে ঘরে বসে থেকেই ইনকাম করছে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে ছবি বিক্রি করে আবার কিভাবে ইনকাম করে?

এখানে কাজ করার আগে সর্বপ্রথমে আপনার একটি অবশ্যই ক্যামেরা থাকতে হবে যদি ফোনের ভালো ক্যামেরা হয় তাহলে ফোন দিয়েই হবে অন্যথায় ফোনের যদি ভালো ক্যামেরা না থাকে তাহলে একটি ক্যামেরা প্রয়োজন হবে। 


দ্বিতীয়ত ক্যামেরা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য অথবা আপনি যে কোন জায়গাতেই যান না কেন যে কোন কিছু সুন্দর মুহূর্তগুলো ছবি তুলে আপনি অনলাইনে আপলোড করবেন। এজন্য আপনাকে অনলাইনে আগে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে । 

এবং সেই একাউন্টে প্রতিনিয়ত আপনাকে ওই সেই ছবিগুলো আপলোড করতে হবে। আর সেই ছবিগুলো কোন ব্যক্তির যদি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে প্রত্যেকটা ছবির প্রতি তিন থেকে চারশো টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন। 

এভাবে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ঘরে বসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।

৬। আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং করে

বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে তারা প্রতিনিয়ত আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখার জন্য লোকজন নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি চান কোন একটা ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লেখালেখির কাজ করতে পারেন। 

আর এই কনটেন্ট লেখালেখির জন্য তার কাছে যেতে হবে না। আপনি আপনার কাজ শেষ করে তাকে দিয়ে দিবেন আর আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সাথে সাথে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং করে খুব সহজেই আপনি ১৫ হাজার টাকা অর্থাৎ আপনি যদি একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হন তাহলে ১৫ হাজারের বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 


এজন্য ঘরে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন। এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে আমি এমন ওয়েবসাইট কোথায় পাবো? 

আপনার টেনশনের কিছু নাই, এমন ওয়েবসাইট অনেক রয়েছে যদি খুঁজে না পান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি চাইলে, আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করতে পারেন, ওয়েবসাইটে কিছু নীতিমালা রয়েছে যেগুলো মেনে কাজ করলে আপনি ঘরে বসে থেকে এই কাজটি করতে পারবেন। 

এর জন্য এই ওয়েবসাইটের যোগাযোগ ঠিকানাতে সমস্ত কিছু রয়েছে। আপনি যদি কাজ করতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটের এডমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৭। সিপিএ মার্কেটিং করি

অধিকাংশ ব্যক্তি এ সিপিএম মার্কেটিং করে প্রতি মাসে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। সর্ব প্রথমে আপনাকে এই কাজটি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হবে, এর জন্য আপনার কাছে দুইটি মাধ্যম রয়েছে 

একটি হচ্ছে অনলাইনে সিপিএম মার্কেটিং কি? এগুলো থেকে কিভাবে কাজ করব? এগুলো লিখে গুগলে বা Youtube এ সার্চ করে সমস্ত কিছু জেনে নেওয়া, এবং দ্বিতীয়ত এর থেকে সর্বোত্তম কাজ হবে একটি ভালো আইটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা যার মাধ্যমে আপনি এই কাজটি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে বা জানতে পারবেন। 


এজন্য আশেপাশে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে সেগুলোতে যোগাযোগ করবেন। আর অবশ্যই ভর্তি হওয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে ভর্তি হবেন, কেননা বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতারিত হতেই আছে। 

এজন্য প্রতারক এবং প্রতারণা থেকে বিরত থাকুন। একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে খুব ভালোভাবে জানার পরে এ কাজটি শুরু করুন। দেখবেন খুব সহজেই আপনিও সবার মত ইনকাম করতে পারছেন।

৮। ড্রপ শিপিং বিজনেস করে

ড্রপ শিপিং হল এমন একটি বিজনেস যা এখানে আপনার নিজস্ব কোন দ্রব্যের প্রয়োজন নেই অন্য কোন ব্যক্তির দ্রব্য আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেজে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বিভিন্ন দ্রব্য সেল করে দিবেন এবং মাস শেষে একটা মোটা অংকের কমিশন পেয়ে যাবেন। 

নামটির সঙ্গে যদিও বা বিজনেস কথাটি জড়িত রয়েছে এই শব্দটি শুনে আপনার হয়তো প্রশ্ন হতে পারে যে বিজনেস করতে তো অনেক টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়? তাহলে আমি ঘরে বসে থেকে কিভাবে এখান থেকে ইনকাম করব? 


আসলে এর নামটি যদিও বা বিজনেস তারপরও এখান থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার কোন প্রকার টাকার প্রয়োজন নেই। এই ড্রপ শিপিং বিজনেসটি করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথমে দুইটি জিনিসের প্রয়োজন হবে একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট দ্বিতীয়ত  facebook পেজ এই দুইটি মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। 

এখন আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে এ ড্রপ শিপিং বিজনেসটি আবার কি? এটি হচ্ছে এমন একটি বিজনেস যা একজনার প্রোডাক্ট আপনি আরেকজনকে দিয়ে দিবেন মাঝখানে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আপনি কমিশন পাবেন। হয়তো বুঝতে পারলেন না তাহলে চলুন উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। 

মনে করুন আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ রয়েছে। আর বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ক্রয় বিক্রয় হয়, সেই রকম ওয়েবসাইটে ঢুকে তারা তাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করার জন্য অনলাইনে যেমন প্রোডাক্ট এর ডিটেলস এবং দাম সমস্ত কিছু লিখা থাকে। 

সেই সমস্ত কিছু জেনে আপনার ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজে এসে পোস্ট করলেন। আর করার সময় যে ওয়েবসাইট থেকে এগুলো ডিটেলস নিয়ে পোস্ট করছেন তাদের থেকে একটু দাম বৃদ্ধি করে পোস্ট করবেন। আর এই সমস্ত প্রোডাক্টগুলো যদি কারো পছন্দ হয় 


অর্থাৎ এর মধ্যে কোন একটি প্রোডাক্ট কেউ যদি অর্ডার করে। তাহলে তার সমস্ত ঠিকানা নিয়ে। ওই আগের ওয়েবসাইটে আপনি অর্ডারটা দিয়ে দিবেন। তাহলে কি হবে তারা ওই অর্ডারকৃত ব্যক্তির কাছে তাদের প্রোডাক্ট পৌঁছায় দিবে, 

আর আপনি মাঝখান থেকে ঘরে বসে থেকে একটা মোটা অংকের কমিশন পাবেন। আর ঠিক এভাবেই আর বাকিদের মতো আপনিও ঘরে বসে থেকে একজন চাকরিজীবীর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৯। ওয়েব ডিজাইন করে

বর্তমান সময়ে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা ওয়েব ডিজাইন করে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যক্তি এখানে কর্মরত অবস্থায় রয়েছে এবং দিনের পর দিন ওয়েব ডিজাইনে বিভিন্ন মানুষ কাজ করে খুব সহজে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। 

ওয়েব ডিজাইন করতে হলে আপনাকে প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হতে হবে। আপনাকে কোডিং এ এক্সপার্ট হতে হবে, আপনি যদি কোডিং এ এক্সপার্ট হন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ডিজাইন করে একটি বিপুল অঙ্কের টাকা প্রতিদিন আয় করতে পারবেন। 

বিভিন্ন ব্যক্তি তারা তাদের ওয়েবসাইটটিকে কেমন দেখতে চাই, সেটি আপনাকে জানিয়ে দিবে আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাদের মনের মত করে ডিজাইন করে দিবেন আর বিনিময়ে তারা আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ডলার দিবে। 

এজন্য এ কাজটি করতে হলে সবার আগে আপনাকে প্রোগ্রামিং শেখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রোগ্রামিং যদি শিখতে পারেন তাহলে এই কাজটি করে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে প্রতি মাসে বিশ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

১০। গ্রাফিক ডিজাইন করে

ডিজাইনের শব্দটি আসলেই সবার আগে যেটি আসে সেটি হচ্ছে সৌন্দর্য। প্রতিটি জিনিসের সৌন্দর্যের একটি আলাদা মূল্য রয়েছে। আর এই প্রত্যেকটি ডিজাইনকেই তৈরি করা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে। 

নিত্য নিয়মিত আপনারা যে সকল পণ্য ব্যবহার করেন সে সকল পণ্যের ডিজাইন এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই কোন একজন ব্যক্তি যদি বিভিন্ন পণ্য কিংবা ডিজাইন করতে চায় তাহলে তাকে সর্বপ্রথমে আগে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপরে দক্ষ হতে হবে।

আপনি যদি নিজেকে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তৈরি করতে পারেন তাহলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জিনিস ডিজাইন করতে আপনাকে কারো কাছে যাওয়া লাগবে না, আপনি ঘরে বসে থেকে খুব সহজেই এই ডিজাইনগুলো করে দিবেন এবং তার বিনিময়ে একটি মোটা অংকের টাকা লাভ করবে।

১১। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে

ঘরে বসে আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিনিয়ত অনেক ব্যক্তি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। এখান থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে, 

যদিও এটি ঘরে বসে কাজ তারপরও এখান থেকে ইনকাম করতে হলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হওয়া প্রয়োজনীয়। কাজটি যদি আপনি সম্পূর্ণ ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আর বাকিদের মতো এই কাজটি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০- ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে-শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ জুড়ে ছিল ঘরে বসে থেকে আপনি কিভাবে অন্যান্যদের মতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন? 

আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করব আপনিও সবার মত ইনকাম করতে পারবেন। এরপরও যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা কিংবা এই পোষ্টটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। 

আর এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url