অতিরিক্ত ঢেকুর উঠলে করণীয় কি হবে জেনে নিন
প্রতিদিন হাজার টাকা ইনকাম করুন ফ্রিখাবার খাবার পর সাধারণত দুই একবার ঢেকুর ওঠা স্বাভাবিক কিন্তু বারবার ঢেকুর ওঠা স্বাভাবিক কিছু নয়, এজন্য আপনার যদি অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠে এবং তা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া থেকে চিকিৎসকের ঔষধ পর্যন্ত করণীয় সম্পর্কে জানতে চান?
তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা আজকের পোস্টটিতে শুধুমাত্র করনীয় নয় এছাড়াও কেন এটি হয়? এটা হওয়া কি স্বাভাবিক? অতিরিক্ত ঢেকুর কি অন্য কোন রোগের লক্ষণ? সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্র:অতিরিক্ত ঢেকুর উঠলে করণীয় কি হবে-মূলভাব
নিজের অজান্তে বিভিন্ন কারণে পেটের মধ্যে জমাকৃত হাওয়া বের হওয়ার পদ্ধতিকে ঢেকুর ওঠা বলে অভিহিত করা হয়। প্রত্যেক ব্যক্তির সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার খাওয়া আবশ্যক।
কিন্তু খাবার খেতে গিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে অর্থাৎ আপনি নিজেও জানেন না আপনার নিজের কিছু ভুলবশত কিছু কারণের জন্য অতিরিক্ত ঢেকুর উঠে থাকে।
সাধারণত কিছু নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া এবং কিছু খারাপ খাবার খাওয়ার থেকে বিরত থাকলে অবশ্যই এ সমস্যা থেকে লাভ করবেন।
কেন ঢেকুর হয় ঢেকুর ওঠার কারণসমূহ জেনে নিন।
খেতে পছন্দ করে না? হয়তো এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি খাবার খেতে পছন্দ করে আর এই খাবার খেতে গিয়ে খাবারটি যদি পছন্দের হয়ে থাকে তাহলে সে খাবারটি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন,
অথবা দেখা যায় যে অনেক সময় ধীরেসস্থে চিবিয়ে না খাওয়ার কারণে খাবারের সঙ্গে বাতাস ঢুকে যাই। সাধারণত কোন ব্যক্তির যদি খাবারের পর দুই একবার ঢেকুর উঠে তাহলে সেটি স্বাভাবিক।
কিন্তু এই ঢেকুর যদি অতিরিক্ত উঠে তাহলে সেটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয় এটি একটি অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং বিরক্তিকর বিষয়। কেননা আপনার পাশে কিংবা আপনার পরিচিত কারো পাশে যদি আপনি বারবার ঢেঁঘুর তুলেন?
তাহলে বিষয়টা খারাপ দেখায় এবং আপনার আসে পাশে যে থাকবে তারও বিষয়টা খারাপ লাগবে। ঢেকুর ওঠা শরীরের জন্য খারাপ বিষয়টা এমন নয় কিন্তু এটি পরিবেশ এবং পরিচিতির সাথে যায় না, এটি একটি অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর বিষয়ের মত হয়ে দাঁড়ায়।
যে সকল খাবারগুলো খেলে অতিরিক্ত ঢেকুর হয় জেনে নিন।
অতিরিক্ত ঢেকুর হওয়ার জন্য অনেকাংশে আপনারা নিজেরাই দায়ী কেননা নিত্য নিয়মিত আপনারা যে সকল খাবার গ্রহণ করে থাকেন সেগুলোর মধ্যে সমস্ত খাবার শরীরের জন্য উপকারী থাকে না।
কিছু খারাপ খাবার থাকে এবং ভালো খাবার ও থাকে। ভালো খাবার গুলো শরীরের পক্ষে উপকার হলেও এগুলো বেশি খেলে অতিরিক্ত ঢেকুরের কারণ হয়ে ওঠে।
আরো পড়ুনঃ পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করবেন জেনে নিন।
কেননা অতিরিক্ত ঢেকুর হলে অনেক সময় এটি দেহের ভিতর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নির্দেশ করে এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে খুব দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
দেখুন এটি দেহের জন্য উপকার কিন্তু অতিরিক্ত হলে সেটি মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে।উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে অতিরিক্ত ঢেকুর উঠাকে ধরা হয়।
নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যে সকল খাবার খেলে অতিরিক্ত ঢেকুর হতে পারে।
- বিভিন্ন ধরনের ধূমপান কিংবা অ্যালকোহল জাতীয় কিছু সেবন করলে।
- কার্বন-ডাই-অক্সাইড অর্থাৎ কোমল পানীয় জাতীয় কিছু পান করলে।
- পেঁয়াজ খেলে।
- টমেটো কিংবা টক জাতীয় বিভিন্ন ধরনের ফল খেলে।
- বিভিন্ন ধরনের ভাজা-পোড়া জিনিস খেলে।
- অনিয়মিত খাবার গ্রহণ।
- শরীরের যত না নেওয়া অর্থাৎ শরীরচর্চা বা ব্যায়াম না করলে।
- অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেললে অর্থাৎ ভর পেট খাওয়ার খেলে।
- অনেক ব্যক্তির অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকার কারণে ঢেকুর হতে পারে।
অতিরিক্ত ঢেকর উঠলে করণীয়-ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় করুন
অতিরিক্ত ঢেকুর থেকে আপনি যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে? আপনার সর্বপ্রথম করণীয় হবে, যে সকল খাবার খেলে অতিরিক্ত ঢেকুর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে সকল খাবারগুলো যদি খারাপ হয়
তাহলে সেগুলো সম্পূর্ণ না খাওয়া এবং কিছু ভালো খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে ও অতিরিক্ত ঢেকুর হতে পারে সে সকল খাবারগুলো একদমই বাদ না দিয়ে অল্প পরিমাণে গ্রহণ করা। তাহলে
আপনি খুব সহজেই এ ধরনের সমস্যা থেকে কোন ঔষধ সেবন না করেই আপনার নিজের প্রচেষ্টায় ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এ সকল সমস্যা থেকে থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
কেননা আপনি ভাবুন কোন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে আছেন সেই সময় যদি অতিরিক্ত ঢেকুর হয় তাহলে আপনার এবং পাশে বসে থাকা মানুষগুলোর অনেক খারাপ লাগবে।এজন্য উপরোক্ত কারণগুলো এড়িয়ে চলবেন তাহলে আশা করা যায় আপনি এ ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে হবে না।
নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অতিরিক্ত ঢেকুর থেকে সহজেই মুক্তি লাভ করতে পারবেন।
- কালিজিরা বা পুদিনা পাতা খাওয়া
- দই খাওয়া
- এলাচ খাওয়া
- মৌরি ফল খাওয়া
- দারুচিনি খাওয়া
- লবঙ্গ খাওয়া
- আদা খাওয়া
- রসুন খাওয়া
- পাতি লেবু ও বেকিং সোডা
১। কালিজিরা বা পুদিনা পাতা খাওয়া।
পুদিনা পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মেন্থল আর ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট যা শুধুমাত্র অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠা থেকে এছাড়াও পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ক্ষেত্রে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের সর্দি-কাশি ওষুধের নাম জেনে নিন।
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে কালিজিরা যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা এবং জ্বর-সর্দির ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে এছাড়াও হজম শক্তি এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে কালিজিরা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।
২। দই খাওয়া।
দই একজন ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য কেননা দইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ডায়রিয়া থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি এছাড়াও এই অতিরিক্ত ঢেকুর খুব দ্রুত কমিয়ে আনে।
৩। মৌরি ফল খাওয়া।
মৌরি ফলের প্রধান উপাদান হচ্ছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি যুক্ত পুষ্টি রয়েছে। যা একজন ব্যক্তির হজম, গ্যাস এবং এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। শুধু তাই নয় মৌরি ফল খেলে এগুলোর পাশাপাশি আপনার অতিরিক্ত ঢেকুর তোলা থেকে মুক্তি পাবেন।
৪। লবঙ্গ বা এলাচ খাওয়া।
লবঙ্গ এলাচ এগুলোর হয়তো নাম শুনে থাকবেন এগুলো রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় কিন্তু এই ফলগুলোর উপকারিতা অত্যন্ত কেননা এ ফলগুলো কোন ব্যক্তি যদি খায় তাহলে
আরো পড়ুনঃ ১৯ টাকায় ৫০০ এসএমএস প্যাকেজ এর কোড জেনে নিন
তার বিভিন্ন ধরনের বদহজম, বমি বমি ভাব এবং গ্যাসের সমস্যা এবং সর্বোপরি অতিরিক্ত ঢেকুর যা বিরক্তি কর অভ্যাস থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে।
৫। আদা এবং রসুন খাওয়া।
আদা এবং রসুন এর মধ্যে রয়েছে ফসফরাস, কপার, জিং এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খাওয়ার ফলে অত্যন্ত বিরক্তিকর অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠা থেকে আপনি মুক্তি লাভ করবেন।
এছাড়াও এই আদা এবং রসুন এ দুটি উপাদান অনেক রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এক কথায় বলা যায় এটি সর্বগুণ সম্পূর্ণ একটি ঔষধ।
৬। ছোট লেবু ও বেকিং সোডা।
লেবু একটি মানব দেহের জন্য উপকারী ফল এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন গ্যাস, বদহজম, ঢেকুর এগুলা থেকে খুব দ্রুত নিরাময় করতে সহায়তা করে।
যে সকল উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে
বিভিন্ন ধরনের অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, শরীর চর্চা না করা যার ফলে বর্তমান সময়ে মারাত্মক ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে বিভিন্ন ধরনের কষে ক্যান্সারের সৃষ্টি হচ্ছে অনেক সময় দেহের পরিবর্তন আসলে এমন ধরনের অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠে।
আরো পড়ুনঃ মেসি কোন ধর্মের অনুসারী জেনে নিন
এরপরও যদি আপনার ঢেকুর ওঠা বন্ধ না হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, কেননা অনেক ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিক বা বদহজম অর্থাৎ পেটের মধ্যে খাবার ঠিকমতো হজম হতে পারে না
আরো পড়ুনঃ রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী জেনে নিন
এছাড়াও পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। এ সকল কারণে আপনার অতিরিক্ত ঢেকুর হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।
কেননা অতিরিক্ত ঢেকুর অন্য কোন বড় রোগের উপসর্গ হতে পারে তাহলে চলুন কিছু উপসর্গ জেনে নেওয়া যাক যে উপসর্গ গুলো দেখা দিলে বড় কোন রোগের সৃষ্টি ঘটতে পারে।
- পেটে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ব্যথার অনুভব
- বিভিন্ন ধরনের রক্তস্বল্পতা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তপাত হওয়া
- দিনে কতবার মলমূত্রত্যাগ হচ্ছে এটি খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত হলে এটি আশঙ্কা জনক
- হজমে সমস্যা হলে অথবা পেটে প্রায় গ্যাসের সমস্যা হলে
- ধীরে ধীরে শরীরে ওজন কমে গেলে
- দীর্ঘদিন ধরে জ্বর কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে
এই পোস্টটি সম্পর্কে লেখকের শেষ মন্তব্য
অতিরিক্ত ঢেকুর উঠলে করণীয় সম্পর্কে আলোচিত সমস্ত কিছু মর্ডান আইটি আপনাকে এতোটুকু নিশ্চয়তা দেয় যে আপনি ইনশাল্লাহ উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
এছাড়া ও এর পরও যদি এই পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এবং আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল নিউজ ফলো করবেন। কেননা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য এবং জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
অনেক উপকারী একটা পোস্ট, ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট করার জন্য। নতুন বাংলা স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, এসএমএস দেখতে ঘুরে আসুন এই সাইটে Sad-Status-Bangla.com
ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য