পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় এবং মুক্তির উপায় জেনে নিন
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জেনে নিনবর্তমান সময়ে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া একটি কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তিরই এখন মাঝেমধ্যে এই রোগটির হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি জ্বালাপোড়া কেন হয় অর্থাৎ এই রোগ সম্পর্কে সমস্ত কিছু যদি জানতে চান? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনি এই রোগের কারণসমূহ থেকে শুরু করে, এই রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি সমস্ত কিছু জানতে চান তাহলে আজকে পোস্টটি আপনাকে সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে।
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়-মূলভাব
একজন মানুষ তার নিত্য নিয়মিত খাবারের সঙ্গে অর্থাৎ প্রতিদিন যে সকল খাবারগুলো খায় সেই খাবারগুলো সম্পূর্ণ শরীরের জন্য পুষ্টিকর নয় কেননা প্রত্যেকটি খাবারের
প্রত্যেক হজম প্রক্রিয়া শেষে পেটের মধ্যে কিছু খারাপ অর্থাৎ বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়। ঠিক তেমনি পানি জাতীয় কিছু পান করার ফলে অনেক সময় খারাপ কিছু পেটের মধ্যে চলে যাই। আর এ সকল সমস্ত বর্জ্য পদার্থ
আরো পড়ুনঃ রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী জেনে নিন।
পায়ুপথ আর পানি জাতীয় বর্জ্য পদার্থ ঘাম এবং প্রসবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়াও প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইউরিন ইনফেকশন আবার বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে ঠিকমতো অপসারণ না হলে এবং বিভিন্ন ধরনের
ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসে আক্রমণ করলে প্রস্রাবে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এই সকল সমস্যার কারণ সমূহ এবং সমাধান নিয়েই আজকের পোস্টটি।
ইউরিন ইনফেকশন কি
যে সকল অঙ্গ প্রতঙ্গের মাধ্যমে শরীর থেকে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ খুব সহজেই বাইরে বেরিয়ে আসে সে সকল অঙ্গগুলোকে মূত্রতন্ত্র বলা হয়।
আর এই মুত্র তন্ত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। মূত্র তন্ত্রের এই আক্রান্ত হওয়াকে ইউরিন ইনফেকশন বলা হয়।
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়?
ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়। অনেক সময় ইউরিন ইনফেকশন ছাড়া আরো অনেক কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। ইউরিন হল শরীরের মধ্যে
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন।
বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ। আর এই বর্জ্য পদার্থে যখন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ করে তখন প্রসাবের রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রস্রাব বের হওয়ার সময় জ্বালাপোড়া করা।
সাধারণত এই রোগটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এটি শুধুমাত্র পুরুষের হয় এমনটা নয়, অনেক সময় নারী পুরুষ উভয়ের হয়ে থাকে।
এই রোগটিকে ইউরিন ট্র্যাক্ট ইনফেকশন যা সংক্ষেপে ইউটিআই ( U.T.I ) বলা হয়। এক্ষেত্রে প্রস্রাব ঠিকমতো হয় না ধীরে ধীরে ফোটে ফোটে পরে এবং প্রস্রাবের রাস্তায় অসম্ভব রকমের জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয়।
এছাড়াও অনেক সময় প্রস্রাব ঠিকমতো হয় কিন্তু প্রস্রাব হওয়া শেষ হওয়ার পরেও এমন জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হতে পারে। তবে শুধুমাত্র পুরুষের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি হয় বা পুরুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এমনটা নয়
এই রোগটি নারীদের ক্ষেত্রেও অধিক হতে দেখা যায়। কেননা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একটি নারীর পায়ুপথের খুব কাছেই মূত্রনালী অবস্থান করে যার ফলে পায়ুপথের মাধ্যমে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস খুব সহজেই
মুত্রনালী দিয়ে প্রবেশ করে ফেলে ইত্যাদিএছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে। তবে মেয়েদের এই রোগটি তুলনা মূলক ভাবে পুরুষদের থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে। মনে রাখবেন এটি অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় অর্থাৎ এই রোগের ১০টি কারণসমূহ গুলো
- কম পরিমাণ পানি পান করা বা শরীরে পানির উপস্থিতি কমে গেলে।
- অনেক দিনের ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা থাকলে।
- মূত্রথলিতে বিভিন্ন কারণে প্রসাব জমা থাকলে।
- মূত্রের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে।
- প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকলে।
- কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হলে।
- অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে।
- বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস থাকলে।
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অর্থাৎ নিজের অজান্তে শরীর থেকে পানি এবং লবণ বের করে দেয় এমন ওষুধ সেবন করলে।
- গোসলের সময় ব্যবহারকৃত সাবান কিংবা শ্যাম্পু দেখে শুনে ব্যবহার করা এ সকল জিনিসের বিভিন্ন ধরনের এলার্জি উপস্থিতি কিংবা ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে ইত্যাদি।
১। পানির অনুপস্থিতি
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকার ফলে অর্থাৎ শরীরে পানির ঘাট দেখা দিলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে
বিশেষ করে মুসলিম ধর্মের রমজান মাসে সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে অনেক সময় পানির ঘাটতি দেখা দেয় যার কারণে এই মাসে এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পানি হচ্ছে মানবদেহের এমন একটি খাদ্য
যা শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের নাইটোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। এজন্য শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার মতো রোগের সৃষ্টি হয়।
একজন মানুষের প্রতিদিন (১.৫-২ ) লিটার পানি পান করা প্রয়োজন, অনেক সময় এরকম হয়ে গেলে এ সকল সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
২। ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা
গ্লুকোজ হচ্ছে মানবদেহের একটি অত্যন্ত এবং আবশ্যক উপাদান। শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে শক্তিতে পরিণত হয়। আর যে সকল ব্যক্তিদের ডায়াবেটিকজনিত সমস্যা রয়েছে
তাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ গ্লুকোজ মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। আমার শরীর থেকে এই গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে শুধুমাত্র প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হবে এমন নয় এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
আরো পড়ুনঃ যৌবনশক্তি বৃদ্ধির ২২ টি উপায় জেনে নিন।
এজন্য ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন কেননা আপনার এই ডাইবেটিস জড়িত সমস্যা শেষ হয়ে গেলে আপনার প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি আর হবে না।
৩। প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে সমস্যা
মানবদেহের বৃক্কের একটি অন্যতম অংশ হচ্ছে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড যা মূত্রথলিকে ঘিরে অবস্থান করে। আর এই মূত্রথলিকে ঘিরে অবস্থান করার কারণে ধীরে ধীরে যখন প্রস্টেট গ্ল্যান্ড বড় হতে থাকে
তখন মূত্রনালীর রাস্তা চেপে যেতে থাকে অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে মূত্র তখন বের হতে পারে না। আর এই ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়ার কারণে মূত্রথলিতে অধিক পরিমাণে প্রস্রাব জমা থেকে যায়। আর মূত্রথলিতে প্রস্রাব জমা থাকলে
বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রসব করতে গেলে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি হবে। প্রস্টেট গ্ল্যান্ড অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪। কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হলে
কিডনি হচ্ছে মানবদেহের একটি অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান কেননা, কিডনিতে অনেক সময় পাথর এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হলে ওই ব্যক্তির প্রসাবে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হবে।
কেননা কিডনি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজে শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের খারাপ পদার্থগুলো বের করে থাকে। কিন্তু সেই কিডনিতে যদি পাথর কিংবা আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে
সেগুলো সঠিক মাত্রায় দেহে থেকে বের হতে পারে না যার ফলে প্রসাবে সমস্যার সৃষ্টি হয়, এমনকি প্রসাবে রাস্তায় জ্বালাপোড়া করে।
৫। অতিরিক্ত কফি বা অ্যালকোহল পান করা
কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কফি পান করে তাহলে সেই ব্যক্তির এ সকল সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে কফি পান করলে ঘন ঘন প্রস্রাব পাবে,
আর অতিরিক্ত প্রসাব হলে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ গুলোর পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ যেমন গ্লুকোজের মতো উপাদান বের হয়ে যায়। এজন্য আপনার যদি কফি পান করার মত অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে তা পরিহার করতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল কিংবা ধূমপানের অভ্যাস থাকলে পরিহার করুন। কেননা এগুলো শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে মানবদেহে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
৬। ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রায় প্রত্যেকটি ওষুধের একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে অর্থাৎ আপনি যদি কখনো কোনো সমস্যার জন্য ওষুধ পান করে থাকেন তাহলে ওই ওষুধটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, এজন্য আপনি কোন সাধারণ কিংবা
যেকোন সমস্যার জন্য না জেনে কোন ওষুধ পান করবেন না অতিরিক্ত ওষুধ পান করলে শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো বের হয়ে যায়। এবং ঘন ঘন প্রসাবের সৃষ্টি হয়। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে তেমন কোন ঔষধ না পান করা।
৭। সাবান শ্যাম্পু থেকে সৃষ্টি সমস্যা
প্রত্যেক ব্যক্তি গোসলের সময় সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে, কিন্তু সে সাবান বা শ্যাম্পুতে যদি বিভিন্ন কারণে ব্যাকটেরিয়া কিংবা কোন ভাইরাস আক্রমণ করে থাকে তাহলে সে সাবান কিংবা শ্যাম্পু
যদি কেউ ব্যবহার করে তাহলে সেই ব্যক্তির মূত্রনালী কিংবা প্রসাবের রাস্তার মাধ্যমে খুব সহজে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে যেতে পারে। তাই এ সকল ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা।
ইউরিন ইনফেকশন কেন হয় জেনে নিন
সাধারণত নারী-পুরুষ উভয়েরে মূত্রনালী পায়ুপথের একটু উপরে অবস্থান করে, আর সেই কারণেই পায়ুপথ দিয়ে যখন বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের হয়ে যায় তখন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই
মূত্রনালীর মাধ্যমে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। আর এটি হচ্ছে ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার অন্যতম কারণ। নারী-পুরুষ উভয়েরই এই রোগটি হতে পারে কিন্তু অনেক সময় নারীদের এ রোগের প্রবণতা একটু বেশি থাকে।
এছাড়াও শরীরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ঘাটতি দেখা দিলে এবং মূত্রের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হলে মূত্রথলিতে প্রস্রাব জমা থেকে যায় ইত্যাদি আরো অনেক কারণে ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে।
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন।
সাধারণত এই জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে ইউরিন ইনফেকশনের কারণে, কেননা এই জ্বালাপোড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইউরিন ইনফেকশন। তাই আপনি যদি এই ইউরিন ইনফেকশন কেন হয় অর্থাৎ এই ইউরিন ইনফেকশন হওয়া থেকে যদি নিজেকে বিরত রাখতে পারেন
তাহলে আপনার এই সমস্যা থেকে খুব দ্রুত আপনি মুক্তি লাভ করবেন। উপরোক্ত আলোচিত হয়েছে ইউরিন ইনফেকশন কেন হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনার না জানা থাকলে দ্রুত জেনে আসুন।
তাহলে চলুন এই জ্বালাপোড়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত ইউরিন ইনফেকশন হলে আপনার সর্বোত্তম কাজ হবে একজন ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা।
কিন্তু এই রোগটি যদি প্রাথমিক কিংবা স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে তাহলে আপনি কিছু উপায় অবলম্বন করলে আপনার এই সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি লাভ করবেন।
- শরীরে পানির উপস্থিতি সঠিক মাত্রা বজায় রাখা। অর্থাৎ কোনভাবে যেন পানির ঘাটতি না দেখা দেয়।
- বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ফলমূল খাওয়া।
- স্যালাইন পানি পান করা।
- প্রসব করার সময় ধীরে সুস্থে এবং সম্পূর্ণ প্রসব করা অর্থাৎ মূত্রথলীতে যেন কোনরকম প্রস্রাব জমা না থাকে এবং প্রসবের বেগ কখনো ধরে রাখবেন না।
- স্কিন টাইট জামা কাপড় পরা থেকে বিরত থাকা।
- যৌনাঙ্গ সব সময় খুব ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা। যৌনাঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধিযুক্ত জিনিস ব্যবহার না করা।
- দই খাওয়া।
- লেবু মিশিয়ে শরবত পান করা।
- ডাবের পানি পান করা
প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়ার লক্ষণ সমূহ
সাধারণত অনেক কারণে এ সকল সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় নিজেরাই কোন না কোন কিছু ভুল এবং অসতর্কতার জন্য প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শরীরের
নির্দিষ্ট পরিমাণে পানির উপস্থিতি বিদ্যমান রাখা। কোনভাবে যদি শরীরে পানির উপস্থিতি কমে যায় অর্থাৎ পানির ঘাটতি দেখা যায় তাহলে এ রোগটির সৃষ্টি হবে। এছাড়াও নিচে আরও লক্ষণসমূহ আলোচনা করা হলো
- প্রস্রাব চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের ব্যথার অনুভব করা।
- জ্বর হতে পারে অর্থাৎ মূত্রনালীর সমস্যা হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে বেড়ে যাই।
- প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া অর্থাৎ হলুদ কিংবা আরো অনেক ইত্যাদি।
- প্রস্রাবে গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে।
- অনেক সময় পেট কিংবা কোমরের মধ্যে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
- বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হওয়া।
- বিভিন্ন ধরনের ফোড়া কিংবা ঘা জনিত সমস্যা হলে।
উপরের উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনার সর্বোত্তম কাজ হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে আপনার কোন রোগটি হয়েছে এবং নিজেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী গড়ে তুলতে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করুন এবং বিভিন্ন ধরনের খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় - শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং বুঝতেও পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলটি জুড়ে ছিল শুধুমাত্র পুরুষের নয় নারী পুরুষ উভয়ের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ে।
এরপরও যদি আপনার কোন প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এবং আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল নিউজ ফলো করবেন।
কেননা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইকে তথ্য এবং জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url