আজকের ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দাম সহ আরো সমস্ত কিছু নিয়ে
রবি ৫ টাকায় ৫০০ এসএমএস কোড জেনে নিনবয়লার মুরগির মাংস অনেকেই পছন্দ করে না কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে (৫০-৬০) % মানুষ এই মুরগির মাংস খেয়ে থাকে। শুধু তাই নয় একটি জরিপ অনুযায়ী দেখা যায় প্রায় অর্ধকোটি মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই পোল্ট্রির সঙ্গে জড়িত।
আর সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে এই বয়লার মুরগির পাইকারি দাম জানার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি বর্তমান চলমান অর্থাৎ আজকের দিনের বয়লার মুরগির পাইকারি দাম যদি জানতে চান? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কেননা আজকের পোস্টটিতে আমরা এই বয়লার মুরগির পাইকারি দামি নয় বয়লার মুরগির পালন সম্পর্কে সমস্ত কিছু নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। আর সেজন্যই আজকের পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ জানিয়ে আজকের পোস্টটি শুরু করতে চলেছি।
আজকের বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম জেনে নিন
ডিজিটালাইজেশনের ফলে বর্তমান বিশ্বের উন্নয়ন আজকে আকাশ ছোয়া। আর ঠিক সেজন্যই উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন আর আগের মত মুরগির মাধ্যমে ডিমের বাচ্চা তোলানো হয় না কেননা এটি একটি অনেক দীর্ঘ সময়ের বিষয়।
আর বর্তমান বাজারে বয়লার মুরগির চাহিদা এতটাই বেশি যে মুরগির মাধ্যমে যদি কোন বাচ্চা তোলানো হয় তাহলে বর্তমানে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জেনে নিন।
এজন্য বর্তমানে উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র অল্প সময়ের মাধ্যমে শত শত মুরগির বাচ্চা তোলানো হয়। বাচ্চা মূলত বিক্রয় করা হয় ওই বাচ্চাটি কতদিন বয়স তার উপরে,
অর্থাৎ ১ দিনের বাচ্চার মূল্য একটু কম, এর থেকে ৪-৫ দিনের বাচ্চার মূল্য একটু বেশি। ঠিক এভাবে এক সপ্তাহ বয়স বাচ্চার মূল্য তার থেকে একটু বেশি।
আপনি যদি সব থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ১ সপ্তাহ বয়সের বয়লার মুরগির বাচ্চা নিতে চান তাহলে আপনার প্রত্যেকটা বাচ্চা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দাম নিবে। নিচে কিছু সবথেকে ভালো মানের বাচ্চার তালিকা দেওয়া হলোঃ-
- হাইব্রিড
- সিপি
- নবীন
- কম
আজকের ব্রয়লার মুরগির পাইকারি দাম জেনে নিন
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক মানুষজন নিয়ে কোন অনুষ্ঠান করলে বয়লার মুরগির মাংসের প্রয়োজন হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে অনেকেই নিজের বাসা অর্থাৎ নিজের প্রয়োজনে অথবা অনেক মানুষজন নিয়ে কোন অনুষ্ঠান করলে এই মুরগির মাংস দিয়ে সেগুলো করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন।
আর একজন ব্যক্তি পাইকারি দামে তখনই মুরগি ক্রয় করতে পারবে যখন তার অনেক মুরগির প্রয়োজন হবে। তাহলে বর্তমান বাজার মূল্যর থেকে একটু কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
এজন্য আপনি যদি এই বয়লার মুরগির পাইকারি দাম জানা থাকে তাহলে আপনি যেকোন ব্যবসায়ী কিংবা খামার থেকে খুব সহজেই মুরগি ক্রয় করতে পারবেন সেক্ষেত্রে তারা চাইলেও
আপনার কাছ থেকে বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে পারবে না। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মুরগি ব্যবসায়ী তারা অত্যাধিক দামে মুরগি বিক্রি করে। কিন্তু আপনি যদি আগে থেকেই
এই মুরগির দাম সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে যান তাহলে আপনি সেই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারিত হবেন না। একদম সঠিক পাইকারি মূল্যে মুরগি ক্রয় করতে পারবেন। আজকের বাজার মূল্য অনুযায়ী বয়লার মুরগির পাইকারি দাম হচ্ছে ১৬২ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি।
খুচরা মূল্যে সাধারণত বয়লার মুরগি কত টাকা কেজি জেনে নিন।
বর্তমান বাজারে এই বয়লার মুরগির দাম সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন জায়গা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দাম হয়ে থাকে। আপনি যদি পাইকারি দামে কোন জিনিস ক্রয় করেন তাহলে তার মূল্যটা তুলনামূলকভাবে একটু কম হয়। কিন্তু আপনি যদি
ঠিক ওই জিনিসটাই খুচরা মূল্যে ক্রয় করেন তাহলে তার মূল্যটা পাইকারি দামের থেকে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়। বর্তমান দেশে প্রত্যেকটি বাজার পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে
সব কিছুরই দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। এজন্য আগে যে বয়লার মুরগি (১০০-১৫০) টাকার মধ্যে পাওয়া যেতো বর্তমান সময়ে অর্থাৎ আজকের বয়লার মুরগির খুচরা মূল্য হচ্ছে ১৮৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সাধারণত বয়লার মুরগি পালন করা কালীন যে সকল রোগ হয়?
বাজারে এই মুরগির অত্যাধিক চাহিদার কারণে বর্তমান সময়ে অনেকেই বয়লার মুরগির খামার অর্থাৎ এই মুরগির পালন করে থাকে। আর পালন করা কালীন অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অসুখ সৃষ্টি হয়।
আপনি যদি এগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জেনে থাকেন তাহলে আপনার খামার বা আপনার মুরগির তেমন কিছু একটা হওয়ার আগেই, আপনি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।
কিন্তু অনেকেই আছে এ সকল রোগ গুলো সম্পর্কে তেমন একটা জানে না, যার কারণে অধিকাংশ খামার ব্যবসায়ীরা অনেক সময় তাদের খামারের মুরগির বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তাহলে চলুন কিছু রোগের নাম জেনে নেওয়া যাক।
- বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি জনিত রোগ
- বাচ্চার উপর পরিবেশের তাপমাত্রা প্রভাব
- নিউক্যাসল রোগ
- পরজীবী ঘটিত রোগ
- মারেক্স রোগ
- সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগ
- কলেরা রোগ
- গামবোরা রোগ
১। বাচ্চার উপর পরিবেশের তাপমাত্রার প্রভাব
সাধারণত এ সকল মুরগি অতিরিক্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে মুরগির পানিগ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্তচাপ, নালির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের মতো সমস্যা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ লিওনেল মেসি কোন ধর্মের অনুসারী জেনে নিন।
সাধারণত (১৭ থেকে ২৫) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এদের উৎপাদন অধিক অর্থাৎ সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা যদি এর থেকে বেশি হয় উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মুরগির মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২। পুষ্টি জনিত রোগ
অনেকে আছে যারা কোনরকম কোন অভিজ্ঞতাই ছাড়া এই মুরগির বাচ্চা পালনে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তারা ঠিক কোন সময়ে কি খাবার দিতে হয় সেটা জানে না, যার ফলে মুরগির বাচ্চাদের মধ্যে
আরো পড়ুনঃ রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী জেনে নিন।
অপুষ্টির অভাব দেখা দেয়। এজন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক মত চিকিৎসা এবং খাবার দিয়ে এ সকল বাচ্চা পালন করবেন। অন্যথায় আপনার খামারের সকল বাচ্চা অকালে মারা যাবে এবং আপনি অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
৩। সংক্রামক এবং অসংক্রামক জনিত রোগ
সাধারণত যে সকল রোগ কোন মাধ্যমে অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোন একটি রোগে আক্রান্ত বাচ্চার সংস্পর্শে কিছু সংখ্যক ভালো বাচ্চা আসলে তাদেরও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে আর একই সংক্রামক জনিত রোগ বলা হয়।
বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক জনিত রোগ রয়েছে। এবং অপরদিকে যে সকল রোগ কোন বস্তু বা প্রাণীর মাধ্যম ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে রোগের সৃষ্টি হয় তাকে অসংক্রামক জনিত রোগ বলা হয়। সাধারণত এই সকল রোগ বাতাসের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে।
৪। পরজীবীজনিত রোগ
বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরজীবীজনিত রোগ, কেননা কিছু সংখ্যকধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যেগুলা অন্যান্য জীবের দেহে বসবাস করে এবং সেই জীবের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতিসাধন করে থাকে।
আর সাধারণত একেই পরজীবীজনিত রোগ বলা হয়। আর এ পরজীবীর রোগ যদি কোন বয়লারের বাচ্চাকে আক্রমণ করে তাহলে সে বাচ্চা খুব দ্রুত মারা যেতে পারে। সাধারণত পরজীবী জনিত রোগ দুই ধরনের হয়ে থাকে।
- অন্ত-পরিজীবী জনিত রোগ
- বহি পরজীবী জনিত রোগ
তাপমাত্রা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন
বয়লার মুরগির জন্য অতিরিক্ত তাপমাত্রা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ আর এই সকল ঝুঁকিপূর্ণ থেকে আপনার খামার কিংবা আপনার পালিত মুরগিকে বাঁচাতে আপনার করণীয় হলোঃ-
- খামারে আশেপাশে স্বাভাবিক তাপমাত্রার বজায় রাখার জন্য গাছপালা লাগানো।
- অতিরিক্ত তাপমাত্রা হলে টিনের চালাই কিংবা ছাদের উপরে পানি ছিটিয়ে সেটিকে ঠান্ডা রাখা।
- টিনের খামার হলে টিনের নিচে তাপমাত্রা প্রতিরোধক আসবাবপত্র লাগানো।
- মুরগির সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য খামারের চারপাশে পানির স্প্রে করা ইত্যাদি।
- মুরগির প্রয়োজনে পুষ্টি মেটাতে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন, খনিজ লবণ এবং ভিটামিন প্রদান করা
শেষ মন্তব্য
অনেক সময় এ মুরগির দাম কম বেশি হয়ে থাকে, সব সময় এক থাকে না। তাই বর্তমান বাজার মূল্য জেনে বুঝে ক্রয় করবেন। আশা করব আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং বুঝতেও পেরেছেন।
এর পড়োও যদি আপনার কোন প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য থেকে থাকে? তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এবং আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল নিউজ ফলো করবেন।
কেননা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য এবং জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url