লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন

হজমশক্তি বৃদ্ধির ১৭ টি উপায় জেনে নিনবর্তমানে বিভিন্ন পরিশ্রমের একমাত্র মূল উৎস হচ্ছে পেটের ক্ষুধার জন্য, কিন্তু যে ক্ষুধার জন্য খাবার খাবেন সে খাবার যদি পেটে হজম না হয় বা হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণে সেই খাবার খেতে না পারেন তাহলে তার থেকে হয়তো সমস্যা আর কিছু হতে পারে না।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন
তাই আপনি যদি আপনার হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জানতে চান? শুধু তাই নয় হজম শক্তির বৃদ্ধির উপায় সমস্ত কিছু নিয়ে আজকের পোস্টটিতে। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

কেন আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবেন?

অনেক সময় আপনাদের অজান্তে আপনারা এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলেন যার কারণে একটা সময় পর ধীরে ধীরে আপনার হজম শক্তি কমে যায়। এই পৃথিবীতে সব ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হয় না। 

অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম কেননা প্রত্যেক ব্যক্তির পরিশ্রমের চালিকা শক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে খাবার গ্রহণ করা। 


কিন্তু সেই খাবার গ্রহণ করে যদি হজম না করতে পারেন তাহলে সেটি সবথেকে কষ্টের বিষয়। 

তার থেকে বড় বিষয় হচ্ছে সেই হজম না হওয়া কৃত খাবারগুলো পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করবে। প্রত্যেক ব্যক্তির হজম শক্তি এক নয় কেননা অনেক ব্যক্তি রয়েছে 

যারা একই ধরনের খাবার খাওয়ার পরও সেটি হজম করে ফেলে কিন্তু ওই একই খাবার অন্য জন তা হজম করতে পারে না। কোন ব্যক্তির হজম শক্তি যদি কমে যায় তাহলে তার শরীরের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি এবং স্থলতার মতো সমস্যা দেখা দিবে। 


লিভারের পিত্ত রস খাদ্যের অম্ল ভাবকে প্রশমিত করে এবং ক্ষারীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ পরিবেশে খাদ্য পরিপাকের জন্য উপযুক্ত হয়ে যায় কিন্তু লিভারের সমস্যা হলে 

লিভার থেকে পিত্ত রস ক্ষরিত হয় না তখন স্বাভাবিকভাবে খাদ্য হজমও হয় না। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিবিদদের মধ্যে খাবার হজম বৃদ্ধি করতে কিছু ঘরোয়া উপায়ে পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে প্রাথমিক অবস্থায়। 

নিচে হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন

মানবদেহে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে লিভার এমন একটি অঙ্গ যার কর্মদক্ষতা অর্থাৎ হজম শক্তি যদি কমে যায় তাহলে শুধুমাত্র হজমজনিত সমস্যা হবে বিষয়টা এমন নয়। এছাড়াও শরীরে 

নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে। এই সমস্যার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা হতে পারে, 


শরীর ফোলা ভাব এবং জন্ডিস ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভারের বিভিন্ন রকম জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তাই লিভারকে বিজ্ঞানের ভাষায় গবেষণাগার বলা হয়। 

হজম শক্তি কমে গেলে যে সকল সমস্যা সৃষ্টি হবে তার নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
  • জন্ডিস
  • অপুষ্টি
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • ঘুমের ব্যাঘাত বা ক্রমাগত ক্লান্তি
  • ডায়রিয়া
  • গ্যাস্টিকের সমস্যা
  • পেটে ব্যথা বা ফোলা ভাব
  • পিত্ত পাথর
  • খাদ্যের প্রতি অনীহা
  • ওজন বৃদ্ধির
  • খাবার পর দীর্ঘক্ষণ ধরে পেট ভারী ভারী ভাব
  • লিভারের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
১। জন্ডিস
যখন কোন ব্যক্তির রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন ত্বক, চোখের বিভিন্ন মিউকাস ঝিল্লি, বা চোখ হলুদ হয়ে যায়। যা বর্তমানে সবার কাছে জন্ডিস বা ইক্টেরাস নামে নামে সুপরিচিত। 


আর রক্তের বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে লিভারের হজম শক্তি কমে যাওয়া। লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

২। অপুষ্টি
শরীরে যখন হজম শক্তি কমে যায়, তখন শরীরে ঠিক আগের মত ঠিক ততটা খাদ্য থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়। এজন্য হজম শক্তি কমে গেলে শরীরের মধ্যে অপুষ্টির লক্ষণ দেখা দিবে।

৩। কোষ্ঠকাঠিন্য
অনেক সময় হজমের সমস্যা পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে খাবারের চলাচলকে স্থির করে দিতে পারে যার ফলে অনেকের মধ্যে দেখা যায় কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো রোগ। এজন্য হজমে সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সৃষ্টি হবে। 


মূলত হজমশক্তি কমে যাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় কেননা কোন ব্যক্তির যদি হজম শক্তি স্বাভাবিক থাকে তাহলে তার গ্রহনকৃত খাদ্য খুব সহজেই পরিপাকের উপযোগী হয়ে যাবে যার ফলে তার এই কোষ্ঠকাঠিন্য মত রোগ হবে না।

৪। ডায়রিয়া
অনেক সময় খাবার অসম্পূর্ণ হজমের হয়ে যায়, যার ফলে ওই অতিরিক্ত অসম্পূর্ণ হজমকৃত খাবার পেটের মধ্যে গিয়ে পরিপাকের অনুকালে আসতে পারে না। যার ফলে প্রত্যেক সময় ওই খাবারে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে বা ওই খাবারকে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে ফেলে। আর মূলত এরই কারণে ডায়রিয়া সৃষ্টি হয়।

৫। খাদ্যের প্রতি অনীহা
অনেক খাদ্য গ্রহণ করার পর পেটের মধ্যে সেটি এমনভাবে অবস্থান করে যে পরবর্তীতে অন্য খাদ্য গ্রহণ করার কোন সাদ বা ইচ্ছা জাগে না। এছাড়াও অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে একটা সময় গিয়ে খাদ্যের প্রতি তেমন একটি আকর্ষণ থাকে না। এর অন্যতম কারণ আপনার হজম শক্তি কমে গেছে।

৬। পেটে ব্যথা বা ফোলা ভাব
গ্রহনকৃত খাদ্য যখন হজম হতে না পারে তখন সেই খাদ্য পেটের মধ্যে থেকে যায়। যার ফলে খাদ্য পরিপাক হতে পারে না পরিপাক না হওয়া কৃত ওই খাদ্যের কারণে পেট ফুলে যায় এবং পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।

৭। পিত্ত পাথর
লিভার যেহেতু পিত্তরস তৈরি করার একমাত্র উৎস আর সেই লিভারে যদি কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে তখন খাবার হজম করতে লিভার ভূমিকা কমে যায় কেননা পিত্তরস খাদ্যের অম্ল ভাব প্রশমিত করে এবং ক্ষারীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে 

আর যার মাধ্যমে খাদ্য পরিপাকের উপযোগী হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই পিত্ত রস ক্ষরিত না হওয়ার কারণে শুধুমাত্র হজমে ব্যাঘাত ঘটে এমন নয় এর পাশাপাশি পিত্তপাথর হতে পারে। 


অনেক সময় লিভারের এই পর্যাপ্ত পরিমাণ পিত্ত উৎপাদন করতে পারে না পাড়ায়, তখন এটি পিত্ত পাথর গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা ও অন্যান্য হজমের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে।

৮। ওজন বৃদ্ধি
যখন শরীরে সঠিকভাবে খাবার হজম করতে ব্যর্থ হয়ে যায় তখন শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি হিসাবে জমা হয় যার ফলে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়।

৯। গ্যাস্ট্রিক
হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণে পেটের মধ্যে ঠিকমতো খাবার হজম হয় না। যার কারণে অনেক সময় পেটে ওই অসম্পূর্ণ হজমকৃত খাবার জমা থেকে যায় যা অনেক সময় জমাকৃত সেই খাবারটি ফুলে পেটে ব্যথার এবং গ্যাসের সৃষ্টি হয়।

১০। ঘুমের ব্যাঘাত বা ক্রমাগত ক্লান্তি ভাব
হজম শক্তি কমে যাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব দেখা দেয় যার ফলে একটা সময় গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে ক্রমগত ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়।

১১। লিভারের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
যদি লিভার সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে এটি লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, মিয়োসিস এবং লিভার ক্যান্সার

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে সাধারণ ভাবে মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে এজন্য এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ভালোভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে । এছাড়াও রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। 


এখন একজন ব্যক্তির সব থেকে উত্তম কাজ হবে সর্বপ্রথমে তাকে জানতে হবে যে কেন তার এই হজম শক্তি কমে গেল। এই জিনিসটা যদি কোন ব্যক্তি চিহ্নিত করতে পারে তাহলে তার ৭০% এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। নিচে হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ সমূহ আলোচনা করা হলো

হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ জেনে নিন

সাধারণত প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী এ হজম শক্তি কমে যাওয়ার পেছনে। কেননা বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে বা পান করে থাকে, যার ফলে 

সেই খাবারটি যদি খারাপ হয় তাহলে পেটে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের মসলাদার এবং তেল যুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন। এ সকল খাবার থেকে দূরে থাকবেন। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন কারণ গুলো জেনে নেওয়া যাক
  • ধূমপান
  • অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করা
  • অ্যালকোহল
  • বিভিন্ন ধরনের খারাপ খাদ্য
  • ঔষধ
১। ধূমপান বা বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল
ধূমপানের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই কেননা এটি এমন একটি পণ্য যার সব দিকে ক্ষতিকারক। এটি খাওয়ার ফলে শুধুমাত্র লিভারের হজম শক্তি কমে যায় না এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এবং 

শরীরে আরো অনেক ধরনের ক্ষতির একমাত্র কারণ ধূমপান। এজন্য নিজেকে সুস্থ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তুলতে হলে ধূমপান পরিহার করুন। 

এমনই ভাবে রয়েছে মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহল এই দ্রব্যগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শরীরের লিভার, কিডনি, ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

২। অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করা
অনেক ব্যক্তি খাবার অনিয়মিত ভাবে খায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে কোন ব্যক্তি সকালের খাবার দুপুরে খাই বা দুপুরের খাবার দুপুরের অনেক পরে খাই। অর্থাৎ যে সময়ে যে খাবার খাওয়া উচিত 

সেই সময়ে না খাওয়াকে অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ বলা হয়। এর ফলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় যা একটি সময় লিভারের হজম শক্তিতে প্রভাব ফেলে।

৩। খারাপ খাদ্য গ্রহণ
অনেক আকর্ষণীয় মসলাদার খাবার পেটে যাওয়ার ফলে পেটে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাই সকল আকর্ষণীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ভিটামিনযুক্ত খাবার রয়েছে সেগুলা পান করুন।

হজমের সমস্যা প্রতিরোধের জন্য আপনার করণীয় কি জেনে নিন

  • বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
  • চর্বিবিহীন এবং অতিরিক্ত মসলাদার তেল যুক্ত খাবার গ্রহণ না করা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
  • খাবার খাওয়ার সময় খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে আস্তে আস্তে খাওয়া
  • ধূমপান এবং বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পরিত্যাগ করার
  • গ্রিন টি পুদিনা পাতা খাওয়া
  • বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপমুক্ত থাকা
  • শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরকে ফিট এবং সুস্থ রাখা
  • হজম সমস্যা গুরুতর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া

লিভার কিভাবে খাবার হজম করে জেনে নিন

লিভার হচ্ছে মানবদেহের সবথেকে বড় গ্রন্থি যার রং হচ্ছে লালচে খয়রি। লিভার বা যকৃতের ডান খন্ডটি বাম খন্ড থেকে আকারে একটু বড় প্রকৃতপক্ষে চারটি অসম্পূর্ণ খন্ড নিয়ে লিভার গঠিত। 

প্রতিটি খন্ড ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোবিউল দিয়ে তৈরি। প্রত্যেকটা লোবিউলে অসংখ্য কোষ থাকে আর এই কোষে পিত্তরস তৈরি করে। লিভারের নিচে অংশ পিত্তথলি বা পিত্তশয় সংলগ্ন থাকে এখানে পিত্তরস এসে জমা হয়। 

পিত্তরস গারো সবুজ বর্ণের এবং তিক্ত সাদা বিশিষ্ট। পিত্তথলি পিত্তোনালীর সাহায্যে অগ্নাশয় নালীর সাথে মিলিত হয়। এটি লিভার অগ্নাশয় নালীর মাধ্যমে ডীউডেনামে প্রবেশ করে। 

পিত্তরসের মধ্যে পানি, পিত্ত লবণ, কোলেস্টেরল ও খনিজ লবণ প্রধান। 

এই রস পিত্তথলিতে জমা থাকে। প্রয়োজনে ডিউটি নামে এসে পরোক্ষভাবে পরিপাকে অংশ নেয়। পিত্তরসে কোন উচ্ছেচক বা এনজাইম থাকে না। যকৃত উদ্বৃত্ত গ্লুকোজ নিজ দেহে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চয় করে রাখে। 

পিত্তরস খাদ্যের অম্ল ভাবকে প্রশমিত করে এবং ক্ষারীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে আর এই পরিবেশে খাদ্য পরিপাক এর জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। 

কেননা আম্লিক পরিবেশে খাদ্য পরিপাক হয় না। পিত্তরস চর্বি জাতীয় খাদ্যকে ক্ষুদ্র দানায় পরিণত করে, যা লাই পেজের সহযোগে পরিপাকে সহায়তা করে। অতিরিক্ত অ্যামাইনো এসিড লিভারে 

আসার পর বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ইউরিয়া, ইউরিক ও অ্যামোনিয়া রূপে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে এবং স্নেহজাতিত পদার্থ শোষনের সহায়তা করে। রক্তে যখন গ্লুকোজের 

মাত্রা কমে কমে যায় তখন লিভারের সঞ্চিত গ্লাইকোজেন এর কিছুটা অংশ গ্লুকোজে পরিণত হয় এবং রক্তস্রোতে মিশে যায়। এভাবে লিভার খাদ্যকে হজম করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

এই পোস্টটি সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং হয়তো বুঝতেও পেরেছেন। এরপরও যদি আপনার এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই 

আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এবং আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে 

অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল নিউজ ফলো করবেন। কেননা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্য এবং জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url