অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় হবে আপনার জেনে নিন

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিনপ্রিয় পাঠক আপনি কি অতিরিক্ত গ্যাস হলে আপনার কি করনীয়, সেটি জানতে চান? অর্থাৎ গ্যাস সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে চান। তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। 
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় হবে আপনার জেনে নিন
কেননা কোন ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত গ্যাস হয় তাহলে তার কি করনীয়। কিভাবে সে তার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে? এর সমস্ত কিছু নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি আপনার কাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান পেতে চান তাহলে অবশ্যই আজকে পোস্টটি আপনাকে সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে গ্যাসের সমস্যা প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তিরই হতেই আছে। এই সমস্যার ব্যক্তি দিনের পর দিন বাড়তেই আছে। 

কেননা অনেক সময় পেটে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় , এ ছাড়াও তেল যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণে 


এ সকল সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার টেনশনের কিছু নাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিসের জন্য অর্থাৎ কেন এ সকল সমস্যা হয় 

এবং এ সকল সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন কিভাবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

গ্যাস্ট্রিক কি? 

পাকস্থলী বা অন্তের আলসারের কারণে হজমে অসুবিধা দেখা দেয়। একে সাধারণত গ্যাস্ট্রিক বলা হয় যদিও সঠিক নামটি হল পেপটিক আনসার। 


এটি হলে পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হবে, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, টক ঢেকুর ইত্যাদি এছাড়াও আরো সমস্যা হয়।

অতিরিক্ত গ্যাস হলে করণীয় কি জেনে নিন।

আজির্নতা একে সাধারণত বদহজও বলে থাকে। নানা কারণে বদহজম হয় এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্যাসের কারণ। 


গ্যাসের কারণে পেটের উপরের দিকে ব্যথা, পেট ফাঁপা, পেট ভরা মনে হওয়া, বুক জ্বালা করা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, বুক ব্যথা করা, টক ঢেকুর ওঠা, এগুলোকে আজির্নতা বা গ্যাসের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। 


এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার কারণে কারণে এ সকল সমস্যা হয়। সর্বপ্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে যে 

কোন সকল খাবার খেলে এ সকল সমস্যা হয় সে সকল খাবারকে চিহ্নিত করা এবং ওই সকল খাবার না খাওয়া। এগুলা থেকে মুক্তির জন্য আপনার করণীয় হলোঃ
  • বিভিন্ন ধরনের খাবার অতিরিক্ত খাওয়াএবং তেল যুক্ত খাবার না খাওয়া। নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া।
  • খাবার খাওয়ার সময় আস্তে আস্তে খাওয়া অর্থাৎ ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া।
  • নিয়মিত খাবারের সাথে শসা খাওয়া।
  • খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে না পড়া।
  • ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করা।
  • আদা খাওয়া।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • দুধ খাওয়া।
  • দারুচিনি খাওয়া
  • এলাচ।
  • পুদিনা পাতা খাওয়া।
  • লবঙ্গ খাওয়া।
  • লেবুর রস পান করা।
  • দই খাওয়া।
  • ডাবের পানি খাওয়া।
  • পেঁপে খাওয়া।
  • মেথি।
  • কলা এবং কমলা খাওয়া।
  • রসুন খাওয়া।
  • পরিশেষে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া।
(১) তেল যুক্ত খাবার না খাওয়া এবং নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া
বিভিন্ন সময়ে অনেক ভালো খাবার পেয়ে সেটি যদি তেল যুক্ত হয় তারপরও অনেকে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে সেই খাবার খেয়ে ফেলে, 

আর যার কারণে ওই খাবারে অতিরিক্ত তেল থাকার ফলে পেটে গিয়ে গ্যাস ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


আবার অনেক ব্যক্তি নিয়ম মেনে খাবার খাই না, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে কোন একজন ব্যক্তি সকালের খাবার খায় দুপুরে, কিংবা দুপুরের পরে। 

আবার দুপুরের খাবার খায় রাতে। এভাবে অনিয়মিত খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়। কেননা একজন ব্যক্তি যখন প্রতিদিন যে সময় খাবার খাবে 


ঠিক সেই সময় ওই খাবারগুলোকে হজম করার জন্য পেটে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরিত হয়। তাই সেই ব্যক্তি যদি নিয়মিত খাবার না খায় তাহলে ওই এসিড যখন খাবার পাবে না তখন 

পেটে এই সকল এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে পেটে অতিরিক্ত গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত খাবার খাওয়া।

(২) খাবার আস্তে আস্তে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া
অনেক সময় কোন ব্যক্তি যখন খাবার ভালোভাবে না চিবিয়ে খায় তখন সে খাবারটি পেটে যাওয়ার পরে হজমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। 

আর মূলত হজমে সমস্যার কারণে পেটে গ্যাসের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যায়। তাই সকল এই দিকে খেয়াল রাখা।

(৩) নিয়মিত শসা খাওয়া
শসার উপকারিতা ব্যাপক কেননা শসা খেলে শুধুমাত্র এই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাবেন বিষয়টা এমন নয় এছাড়াও শসা খেলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে 


আপনি দূরে থাকবেন। শসাতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এই সকল উপাদান গ্যাসের চাপ কমিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

(৪) ধূমপান পরিহার করা
ধূমপান শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র একটি ক্ষতিকর পণ্য। কেননা ধূমপানের কারণে শুধুমাত্র পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় বিষয়টা এমন নয়। ধূমপানের কারণে হৃদরোগ এবং ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই ভালো থাকার জন্য অবশ্যই এই অভ্যাসটি ত্যাগ করবেন।

(৫) আদা খাওয়া
আদাকে সর্বগুণে সম্পূর্ণ বলা হয়। কেননা আদা শুধুমাত্র এই সমস্যার ক্ষেত্রেই ভূমিকা পালন করে বিষয়টা এমন নয়। আদায় এমন একটা জিনিস 


যেটি খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আদার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, আইরন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। 

আদা ছাড়া আর হয়তো অন্য কোন জিনিস নাই যার মধ্যে এতগুলো উৎপাদন বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য আদা শুধু এই রোগের ক্ষেত্রেই নয় আরো অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(৬) নিয়মিত ব্যায়াম করা
ব্যায়াম এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি যদি চাই তাহলে গ্যাস্ট্রিক অর্থাৎ গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারে। এজন্য কোন ব্যক্তি চাইলে 

যোগব্যায়াম বা ইয়োগা করার মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। এটি করার ফলে শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের খারাপ বায়ু খুব তাড়াতাড়ি বের করতে ভূমিকা পালন করে। 


এই ব্যায়াম করার ফলে হজম হজম শক্তির বৃদ্ধি ঘটায়। অগ্ন্যাশয় কে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এই ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(৭) দুধ পান করা
 নিশ্চয়ই দুধের উপকারিতার কথা নতুন করে বলে দিতে হবে না। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তি জানে দুধ পান করা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কেননা দুধের মধ্যে যে সকল পুষ্টি উৎপাদন থাকে সেগুলো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(৮) লবঙ্গ ও এলাচ খাওয়া
গ্যাস্ট্রিকের জন্য লবঙ্গ এবং এলাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা দুই-তিনটা লবঙ্গ বা এলাচ মুখে নিয়ে চুষে কিংবা চাবিয়ে খেলে এটি আপনার 


অতিরিক্ত গ্যাসের পরিমাণ খুব সহজেই কমিয়ে আনবে। তাই আপনি আপনার সমস্যার জন্য এ দুটি উপাদান খেতে পারেন।

(৯) পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা খাবার ফলে বিভিন্ন ধরনের পেট ফাঁপা এবং বমি বমি ভাব এছাড়া লিভারের সমস্যা হলে পুদিনা পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক গ্লাস পানিতে চার-পাঁচটা পুদিনা পাতা ফুটিয়ে সেই পানি করুন। যা আপনার অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দূর করবে।

(১০) কলা এবং কমলা
পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে এই কলা আর কমলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

পাকস্থলীর ওই অতিরিক্ত সোডিয়াম এর পরিমাণ কমিয়ে আনে এই কলা এবং কমলা। তাই এই দুইটা ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।

(১১) দারুচিনি
দারুচিনি গ্যাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোন ব্যক্তির যদি গ্যাস হয় আর সেই ব্যক্তির যদি এক গ্লাস পানিতে আধা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার পান করে তাহলে সেই ব্যক্তি গ্যাসের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি লাভ করবে।

(১২) দই
খাবার হজম করার জন্য অর্থাৎ হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য দই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই কোন ব্যক্তি যদি খাবার পর দই খায় তাহলে ওই খাবারটি খুব সহজেই হজম হয়ে যাবে। আর সাধারণত খাবার হজম না হওয়ার কারণে গ্যাস হয়।

(১৩) রসুন খাওয়া
 রসুনকে সর্বগুনে সম্পূর্ণ বলা হয়। সাধারণত রসুনের মধ্যে রয়েছে এলিসির নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শুধুমাত্র এই গ্যাস্ট্রিকের রোগের ক্ষেত্রেই নয় 

শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং রসুন খাওয়ার ফলে রক্তে সঞ্চালন এবং পরিশোধন রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রসুন হজমশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। 

এছাড়াও প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রসুনের গুরুত্ব অপরিসীম। সর্বোপরি এটাই বলা যায় যে রসুন একটি সর্বগুনে সম্পন্ন যা প্রাচীনকালে মহা ঔষধি নামে পরিচিত ছিল।

(১৪) ডাবের পানি
ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণ মিনারেল। যা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়। এজন্য অতিরিক্ত গ্যাস হলে ডাবের পানি পান করবেন।

(১৫) গ্যাসের ঔষধ খাওয়া
সাধারণত মানুষ গ্যাস হলে ওষুধ খেয়ে থাকে। আর ঔষধের সাধারণত এন্টাসিড হয়ে থাকে। এন্টাসিডে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস প্রশমক এসিড। 

যা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ওষুধ রয়েছে, তাই কোন ব্যক্তি যদি ঔষধ খায় তাহলে তার সমস্যা চিরতরে শেষ হবে না। কেননা 

সেই ব্যক্তিকে আগে বুঝতে হবে কোথায় থেকে অর্থাৎ কোন সকল খাবার খাওয়ার ফলে আমার গ্যাস হল। এই জিনিসটা যদি কোন ব্যক্তি বুঝতে পারে তাহলে খুব সহজেই সে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাসের সমস্যা দূর করার উপায় জেনে নিন।

অনেক সময় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে, প্রাথমিক অবস্থায় কিছু চিকিৎসা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা। অনেক সময় আমাদের ছোটখাটো রোগ হয়ে থাকে। 

সে সকল রোগের জন্য ঔষধ না খেয়ে সব থেকে উত্তম হবে ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করা। কিন্তু রোগটি যদি খুব মারাত্মক হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ
  • গরম পানিতে গোসল করা
  • পেটে মাসাজ করা
  • ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া
(১) গরম পানিতে গোসল করা
অতিরিক্ত গ্যাস হলে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয়, আর এই ব্যথা নিরাময়ের জন্য গরম পানি দিয়ে গোসল করা সর্বোত্তম কাজ। কেননা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে 

শুধুমাত্র পেটের ব্যথায় নয় শরীরের অন্যান্য জায়গা ব্যথা থাকলে সেটি দ্রুত কমে যায়। তাই গরম পানি দিয়ে গোসল করা অতিরিক্ত গ্যাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(২) পেটে মাসাজ করা
অতিরিক্ত গ্যাস হলে আপনার করণীয় হবে পেটের উপরিভাগ কে আলতোভাবে মাসাজ করা কেননা আপনি যদি এভাবে পেটের উপরিভাগ আলতোভাবে মাসাজ করেন 

তাহলে গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে চলে আসবে এবং খুব সহজেই আপনার বায়ু পথ দিয়ে বের হয়ে যাবে। এজন্য গ্যাসের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার জন্য মাসাজ করুন।

(৩) ফাইবার যুদ্ধ খাবার খাওয়া
অতিরিক্ত গ্যাস হলে আপনার খাবারের তালিকায় অবশ্যই বেশিরভাগ ফাইবার যুক্ত খাবার রাখতে হবে। এর ফলে দেখা যাবে 

আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে ফাইবার সাধারণত বেশি থাকে তাই ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া।

আপনি কখন একজন ডাক্তারের কাছে যাবেন জেনে নিন

সাধারণত গ্যাসের সমস্যা খুব একটা মারাত্মক রোগ নয়। কেননা এটি সাধারণত আমাদের কিছু ভুলের কারণে হয়ে থাকে। কিছু লোভনীয় বা আকর্ষণীয় খাবার খাওয়ার ফলে 

অর্থাৎ অতিরিক্ত মসলাদার বা তেল যুক্ত খাবার খাবার কারণে হয়ে থাকে। আর এগুলো হলে উপরোক্ত নিয়মগুলো ফলো করার পরও যদি আপনার সমস্যা সমাধান না হয়। 

তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কেননা কোন ব্যক্তির বয়স যদি ৪০ এর বেশি হয় এবং তার এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণত কিছু উপায় অবলম্বন এবং ঔষধ সেবন করে ভালো না হলে। 

তাকে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ সে ক্ষেত্রে তা বদহজম না হয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কেননা অনেক সময় 

হার্ট অ্যাটাকে লক্ষণগুলো এগুলোর মত হয়ে থাকে। তাই এ সকল সমস্যা সমাধানে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

এই পোস্টটি সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য

আশা করি আজকের পোস্টটি সম্পন্ন করেছেন এবং আজকের পোস্টটি অতিরিক্ত গ্যাস হলে একজন ব্যক্তির করণীয় কি কি সে সকল বিষয় সম্পর্কে সমস্ত কিছু আলোচনা করা হয়েছে। 

এর পরও যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এবং আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে 

অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের গুগল নিউজ ফলো করবেন। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আপডেট পেয়ে যাবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url