বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা এবং তার জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কিছু নিয়ে আজকের পোস্টটিতে
প্রিয় পাঠক আপনি কি বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জানতে চান? আপনি যদি বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কেননা আজকের পোস্টটিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে সমস্ত কিছু নিয়ে অর্থাৎ তার জন্ম-মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কিছু নিয়ে আজকের এই পোস্টটি। তাই আপনি যদি তার জীবন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
ভূমিকা
বর্তমানে শুধু বাংলাদেশে নয় বাইরের বৃহত্তরও বড় বড় দেশগুলোতেও বঙ্গবন্ধুর নাম না জানা এমন কেউ হয়তো খুঁজে পাওয়া এমন একটা যাবে না। তাকে সবাই জানে এবং চিনে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অন্যতম মহানায়ক। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিরই উচিত তার সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানা। বর্তমানে হয়তো অনেকেই তার সম্পর্কে জানে না।
তাই আপনি যদি তার সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লেই আপনি আশা করি তার সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম এবং তার শৈশবকাল
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই মহা মানব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ ( ৩রা চিত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ ) সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান। এবং মাতার নাম সায়রা খাতুন। তিনি মা-বাবার ৬ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান, বঙ্গবন্ধুর চার বোন এবং দুই ভাই এবং তার মা বাবা নিয়ে তার ছোট্ট পরিবার ছিলেন।
তার জন্ম যেহেতু গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এজন্য বঙ্গবন্ধুর শৈশব অর্থাৎ ছোটবেলা কেটে যায় সেখান থেকেই। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি পড়ালেখা জীবনে পা দেন
অর্থাৎ তিনি ১৯২৭ সালে গিমাডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করে।
বঙ্গবন্ধুর বিয়ের এবং তার যুবক বয়সের ঘটনাবলী
দুর্ভাগ্যজনক তার একটি চোখে সমস্যার কারণে অর্থাৎ চক্ষু রোগের কারণে তার লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটেছিল ১৯৩৪ সালে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন ১৪ বছর তখন তিনি এ রোগে আক্রান্ত হন।
এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন ১৮ বছর তখন বেগম ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিয়ে হয়।
এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্র দুই কন্যা মোট পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল শেখ রাসেল শেখ জামাল।
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি এবং দুঃসাহসের জীবনের ঘটনাবলী
জীবনের প্রথম বঙ্গবন্ধু ১৯৩৯ সালে সরকারি একটি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারণে অর্থাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার দুঃসাহসিকর ক্ষমতার দেখানোর কারণে তাকে প্রথম কারাগার অর্থাৎ জেলে যেতে হয়।
১৯৪২ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার জন্য কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। এবং ইসলামিয়া কলেজের ২৪ নম্বর হোস্টেল কক্ষে তিনি থাকতেন।
এবং এভাবে আস্তে আস্তে তিনি রাজনীতি জীবনের সাথে নিজেকে জড়াতে থাকেন ১৯৪৪ সালে মুসলিম ছাত্রলীগের একটি সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন।
আরো পড়ুনঃ দুই টাকায় ৫০ এসএমএস এর কোড জেনে নিন।
এর হাত ধরেই শুরু হয় তার রাজনীতিতে পদার্পণ। এবং ১৯৪৬ সালে অর্থাৎ যে কলেজে তিনি পড়ালেখা করছিলেন সেই কলেজেই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিএ পাস করেন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালের।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় একটি পূর্ববঙ্গ আরেকটা পশ্চিমবঙ্গ। পাকিস্তানি শাসকরা পূর্ববঙ্গের মানুষের ওপর অত্যাচার-শোষণ চালাতে থাকে।
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে জেনে নিন।
এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সেই দৃশ্য দেখে পূর্ববঙ্গের মানুষগুলোকে মুক্ত করায় তার একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে তার কাছে এসে দাঁড়ায়। এবং তার জীবনের দ্বিতীয়বার
১৯৪৯ সালের ১১ই মার্চ পাকিস্তানি সরকার তাকে আবার গ্রেফতার করে। এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ এর জন্ম হয়।
আরো পড়ুনঃ ১৯ টাকায় ৫০০ এসএমএস প্যাকেজের কোড জেনে নিন।
আর এই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে সাধারণ পরিষদে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হন এবং নতুন সরকার গঠন করা হয়।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের হোসেন শহীদ সোহরা ওয়ার্ডদের মৃত্যু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৬৬ সালে বাঙালি অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ছয় দফা দাবি উত্থান করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঐতিহাসিক আগরতলা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার করা হয় ১৯৬৮ সালে।
পরবর্তীতে জনগণের আন্দোলনের কারণে তাকে ১৯৬৯ সালে মুক্তি দেওয়া হয়। এবং মুক্তির পরেই ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ দিয়ে সাধারণ জনগণকে তিনি তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাগরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু উপাধি টা কিভাবে আসলো
ইতিহাসে যারা স্মরণীয় এবং মহৎ কাজকর্ম করেছেন তাদেরকে বিভিন্ন সময় উপাধি দিয়ে ভূষিত করা হতো।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে ফজলুল হককে শেরেবাংলা উপাধি দেওয়া হয়েছিল। কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে উপাধি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও অনেক মহৎ ব্যক্তি রয়েছে যাদেরকে তাদের কৃতি কর্মের জন্য বিভিন্ন নামে উপাধি দেওয়া হয়েছে। আর শেখ মুজিব ছিলেন বাংলা জনগণ মানুষের বন্ধু,
তাদের সঠিক অধিকার এবং তাদের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন।
বঙ্গবন্ধু শব্দটির অর্থ হলো বঙ্গ যার অর্থ হল বাংলা। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শব্দের অর্থ হচ্ছে বাংলার বন্ধু অর্থাৎ বাংলার মানুষের বন্ধু। এজন্য তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়।
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান
১৯৪৮ সালে ১৯শে মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্না ঢাকায় আসেন। ২১ শে মার্চ রেসকোর্স ময়দানে প্রতিষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায়
তিনি এক বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণা করেন উর্দু এবং উর্দুই হবে একমাত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। ২৪শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে তিনি অনুরূপ ঘোষণা দিলে ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ মুখর হয়
এবং তারই সঙ্গে বলে ওঠে না না উক্তির প্রতিবাদ। ১৯৫২ সালের ২৬ শে জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন
জিন্নাহর অনুকরণে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার নতুন ঘোষণা প্রদান করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্রসমাজ ৩০শে জানুয়ারি ধর্মঘট পালন করেন।
আরো পড়ুনঃ মানসিক শান্তি লাভের উপায় জেনে নিন।
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ নতুন ভাবে গঠিত হয়। নতুনভাবে আন্দোলন সংঘটিত হতে থাকে। এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দলগুলো যুক্ত হয়। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘাট এবং ঐদিন রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কারাবন্দি নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়
একুশে ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি পালনে ছাত্র ওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ডেকে পরামর্শ দেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য শেখ মুজিব ও সহ বন্ধি
মহিউদ্দিন আহমেদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফরিদপুর জেলা স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মহিউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে শেখ মুজিব রাজবন্দীদের মুক্তি ও রাষ্ট্র বাংলার দাবীতে
আমরণ অনশন শুরু করলে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। দেশব্যাপী জনমত গড়ে উঠতে থাকে। ২০ শে ফেব্রুয়ারি সরকারি এক ঘোষণায় একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সভাস সমাবেশ, মিছিল এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। আন্দোলনের নেতৃত্ব বৃন্দ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এবং অবশেষে একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের পাশে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সবাই ১০ জন করে মিছিল বের করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিক থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। পুলিশ প্রথমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে, পরবর্তী সময়ে মিছিলে লাঠিচার ও কারদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
একপর্যায়ে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে আবুল বরকত, জব্ব, সালাম সহ আরো অনেকেই শহীদ হন। এছাড়াও অনেকেই আহত হয়েছিলেন।
ঢাকায় ছাত্র হত্যার খবর দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২২ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশাল শোক রেলি বের হয়। এখানে পুলিশের হামলায় শফিউর রহমান শহীদ হন। শহীদদের স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য
২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সমাজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে। ২৩ শে ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমানের পিতাকে দিয়ে প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়।
এবং ২৪ শে ফেব্রুয়ারি পুলিশ উক্ত শহীদ মিনার কে ভেঙে ফেলে। ঢাকায় একুশে ফেব্রুয়ারি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে কবি মাহবুব আলম চৌধুরী নিয়ে এসেছি কবিতার রচনা করেন।
এছাড়া আরো অনেকে অনেক কবিতা রচনা করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর পঞ্চাশের দশকব্যাপী ছিল বাঙ্গালীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি কাল।
ভাষা আন্দোলন পরবর্তীকালে সকল রাজনৈতিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা যুগিয়ে ছিল। এ আন্দোলন এদেশের মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। বাঙালির মধ্যে স্বাধীনতার চেতনার জাগিয়ে তোলে। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন
১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন ঢাকার রোজগার্ডেনে এক সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক। এবং যুগ্ম সম্পাদক হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরুতে এই দলটি ছিল বাঙ্গালীদের স্বার্থে একটি বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করা।
বিভিন্ন কর্মসূচি এবং সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য দলটি দ্রুত পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকের চোখে পড়েন।
তাই ১৯৪৯ সালে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু কারাগারে বসেই ভাষার দাবিসহ রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। ফলে ১৯৫২ সালের ২৭ই ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত তাকে বন্দী জীবন কাটাতে হয়। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল উদ্যোগ ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৫৫ সালে
অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ এর নাম পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ করা হয়।
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর অবদান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তার বিশ্বাস ছিল শেষ পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম ব্যতীত বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
তাই তিনি সে সময়ে গোপনে গঠিত বিপ্লবী পরিষদের সদস্যদের তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্মতি দিয়েছিলেন। বিপ্লবী পরিষদের পরিকল্পনা ছিল একটি নির্দিষ্ট রাতে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে
বাঙালীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবগুলো ক্যান্টনমেন্ট কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানদের অস্ত্র কেরে নিয়ে তাদের বন্দি করা
এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করবে। উক্ত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হওয়ার পূর্বে তা ফাঁস হয়ে যায়। এরপর পাকিস্তানী সরকার
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে করা হয় এক নম্বর আসামি। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২১ ও ১৩১ ধারায় তদানীন্তর পূর্ব পাকিস্তানকে সশস্ত্র পন্থায় স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে
প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করার অভিযোগ আনা হয়। বিচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠিত বিশেষ ট্রাইবুনালে ১৯৬৮ সালের ১৯শে জুন এ মামলার শুনানি শুরু করা হয়।
মামলা শুরু হওয়ার পর তা প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র সমাজের ১১ দফার ভিত্তিতে কৃষক শ্রমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ তা আন্দোলনে রূপ লাভ করে।
আন্দোলনের ফলে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়, তারই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা বাঙালি স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করতে অনুপ্রেরণা যোগায়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান
১৯৬৯ সালের ২৫ শে মার্চ আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন। ইয়াহিয়া খান উক্ত পদে আসীন হন। তিনি ২৮মার্চ এক ঘোষণায় পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
তবে পাকিস্তানে ইতিপূর্বে কোন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এই নির্বাচন নিয়ে নানা আশঙ্কা ছিল। নির্বাচন বিষয়ে কোন নিয়ম কানুন ছিল না। অবশেষে ১৯৭০ সালে ১৭ই ডিসেম্বর
সর্বপ্রথম এক ব্যক্তির এক ভোটের ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগ, পাকিস্তানি পিপলস পার্টি, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জামাতে ইসলামী প্রভৃতি দল অংশগ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ছয় দফার পক্ষে গণভোট হিসাবে অভিহিত হয়। নির্বাচনে পাঁচ কোটি ৬৪ লাখ ভোটার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান ছিল ৩ কোটি ২২ লাখ।
১৯৭১ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০ টি আসন লাভ করে। সংরক্ষিত মহিলা আসন সহ সাতটি আসন মোট ১৬৭ টি আসন লাভ করে জাতীয় পরিষদে ১ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
আবার পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সংরক্ষিত দশটি মহিলা আসন সহ মোট ৩১০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯৮ টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল নদীর বিহীন। এককভাবে সরকার গঠন ও ছয় দফার পক্ষে গণরায় লাভ করে।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
এ ভাষণে পশ্চিম পাকিস্তানে শাসক গোষ্ঠীর শোষণ-শাসন, বঞ্চনার ইতিহাস, নির্বাচনে জয়ের পর বাঙালির সাথে প্রতারণা ও যা বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের পটভূমি তুলে ধরেন।
বিশ্ব ইতিহাসে বিশেষ করে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল। পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব ঐতিহাসিক ভাষণের অন্যতম। এ ভাষণ পৃথিবীর স্বাধীনতা গামী
মানুষের নিকট অমর হয়ে থাকবে আজীবন। ৭ ই মার্চের ভাষণ থেকে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরে বাঙালি জাতির সামনে একটিমাত্র গন্তব্য নির্ধারণ হয়ে যায়, তাহলে স্বাধীনতা।
৭ ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ডাক দেন, সে ডাকে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরবর্তী করণীয় ও স্বাধীনতা লাভের দিকনির্দেশনা ছিল,
প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন,- রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো,
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
এ ভাষণে তিনি প্রতিরোধ সংগ্রাম, যুদ্ধের কলাকৌশল ও শত্রু মোকাবেলার উপায় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। ৭ই মার্চের স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর আক্রমণ চালায় এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুরু করে। যেটি বাঙালির ইতিহাসে একটি নীল নকশা নামে পরিচিত। বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক যাত্রা
৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত কর্মসূচি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বানের প্রতি সাড়া দিয়ে সকল স্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়।
পূর্ব বাংলার সকল অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা বেগতিক দেখে ইহাইয়া খান ঢাকায় আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা করতে।
এ সময় ভুট্টো ঢাকায় আসেন। অপরদিকে গোপনে আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে শূন্য ও গোলাবারুদ এনে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।
১৭ই মার্চ টিক্কা খান এবং রও ফরমান আলী অপারেশন সার্চলাইট নামক কর্মসূচির মাধ্যমে বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড পরিচালনার নীল নকশা তৈরি করে।
২৫শে মার্চ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরত তম গণহত্যা, অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়। ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ২৫ শে মার্চ রাতে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন।
ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হত্যা করে বহু মানুষকে। পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম,
পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালাই ও নৃশংসভাবে গণহত্যা ঘটায়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৫ শে মার্চের রাত কাল রাত্রি নামে পরিচিত। এখন জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃত।
বঙ্গবন্ধুর ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা
২৫শে মার্চের কাল রাত্রিতে অর্থাৎ 26 শে মার্চের প্রথম শহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।ঘোষণা ছিল ইংরেজিতে, যাতে বিশ্ববাসী ঘোষণাটি বুঝতে পারেন।
ঘোষণাটির বাংলা অনুবাদ হলঃ- ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা আজ হতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যার যা কিছু আছে,
তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সৈন্যটি কে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
ওয়ারলেসযোগে তা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা মাত্রই চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
শুরু হয় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বাঙালি, আনসার ও নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের এক অসম লড়াই, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত।
স্বাধীনতার ঘোষণার পর পরে ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে আনুমানিক রাত ১ঃ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং এর প্রতি বাঙালি সামরিক, আধা সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর সমর্থন ও অংশগ্রহণের খবরে স্বাধীনতা গামী জনগণ উজ্জীবিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল নেতৃত্বের মূলভাব
বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতৃত্ব দেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সারা জীবনের কর্মকাণ্ড, আন্দোলন-সংগ্রাম নিবেশিত হয়েছে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে।
এই লক্ষ্য নিয়ে তিনি ১৯৪৮ সালের ছাত্রলীগ এবং ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগী হন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ছিলেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম কারাবন্দীদের মধ্যে শীর্ষ নিও। কি সংসদ, রাজপথ, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতের পক্ষে তার কন্ঠ ছিল সর্বদা সোচ্চার। ১৯৫৪ সালের নির্বাচন,
১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান, ১৯৯৮ সালে জেনারেল খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে আমাদের বাঁচার দাবি ছয় দফা কর্মসূচি পেশ ও ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলন,
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন বিজয়, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনে
একগুচ্ছ ভূমিকা পালন করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
পাকিস্তানের ২৪ বছরের শাসনের মধ্যে ১২ বছর বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। সংগ্রামের পথ ধরে ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চের তার ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি স্বাধীনতার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন।
২৫শে মার্চ নিরস্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সশস্ত্র আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ল ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ প্রথম প্রহরে তিনি সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।
তার নামেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি।
তার বলিষ্ঠ ও আপোষীর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। শেখ মুজিব হলেন স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু ( ১৫ আগস্ট এর নির্মম হত্যাকাণ্ড )
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনী ঘটে এক নির্মম, নিষ্ঠুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড। সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চবিলাসী সেনাসদস্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির মদদে
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসভবনে নৃশংস হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপস্থিত কোন সদস্যই ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পাননি। এমনকি ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেল ও।
একটি আধুনিক ও শোষণ-দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন সংগ্রহ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই দেশি-বিদেশি
প্রক্রিয়াশীল অপশক্তি মহলে সহযোগিতায় দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। তারা বুঝতে পেরেছিল যে,
বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মতো দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সফল হবেন। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথ খেয়ে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য ১৫ আগস্ট এর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।
এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ পুনর প্রতিষ্ঠা পাই। এ হত্যাকাণ্ড ছিল একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।
এটি ঘটেছিল গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। এ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। বর্তমানে ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস।
এই পোস্টটি সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য
আশা করি আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন। আসলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একটি মানুষ যা সম্পর্কে যা-ই বলি না কেন অনেক কম হয়ে যায়।
তিনি বাঙালি জাতির জন্য মহানায়ক হয়ে এসেছিলেন। আজকের পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইট দিকে ফলো করবেন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য ও জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url