অনলাইনের মাধ্যমে মাত্র ৫ মিনিটে জমির খাজনা দেওয়ার নতুন নিয়ম ২০২৪
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটালাইজেশন এর মাধ্যমে অর্থাৎ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে ভূমি সেবা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে । মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার জমির খাজনা প্রদান করতে পারেন ।
তাই আপনি যদি আপনার জমির খাজনা পরিষদ করতে চান । এবং শুধু তাই নয় জমির খাজনা সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে । তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক ।
খাজনা কি
পৃথিবীর সকল দেশের নাগরিকের ক্ষেত্রে , আপনি যখন কোন দেশের নাগরিক হয়ে উক্ত দেশের জমির মালিকানা পাবেন তখন আপনি অবশ্যই সেই জমি ভোগ অর্থাৎ মালিকানা সূত্রে সে জমি আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করবেন এটা স্বাভাবিক।
আর এই জমি ভোগ করার বিনিময়ে প্রতিবছর উক্ত জমির নির্দিষ্ট পরিমাণ কর বা খাজনা প্রদান করতে হয় । আর একেই জমির খাজনা বলা হয় ।
খাজনা প্রদান একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা কেননা খাজনা আদায় বর্তমান সময় থেকে নয় , বরং এটা অনেক আগের জমিদার প্রথার সময় থেকে এটি প্রচলন হয়ে আছে ।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা প্রদান করা হয় কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে অর্থাৎ ২০২১- ২০২২ সালের দিকে অনলাইনে খাজনা প্রদান করা যেতো না।
তখন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা অফিসে গিয়ে খাজনা পরিষদ করতে হতো । যার মাধ্যমে অনেক সময় ব্যয় হতো যা বর্তমানে অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজেই খাজনা পরিশোধ করা হয় ।
জমির খাজনা কত টাকা শতক ছিল এবং এখন কত টাকা ২০২৪
প্রাচীনকাল অর্থাৎ জমিদার প্রথার সময় থেকে খাজনা প্রদান করতে হয় । সেই সময় খাজনা প্রদান করার মাধ্যম ছিল উৎপাদনকৃত ফসল অথবা অর্থ ।
বর্তমানে এই খাজনাকে বলা হয়ে থাকে ভূমি উন্নয়ন কর । এখন জমির খাজনা প্রদান করা হয় অর্থের মাধ্যমে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জমির খাজনা হার অর্থাৎ জমি অনুযায়ী কিভাবে খাজনা নির্ধারণ করা হয় ।
আগের সময় খাজনার পরিমাণ ছিল
ইংরেজিতে ১৯৭১ এবং বাংলায় ( ১৩৭৮ সন ) থেকে মহান স্বাধীনতা অর্জন করার পর পূর্বের সমস্ত বকেয়া খাজনা মুকুব করে দেওয়া হয়েছিল । এবং পরবর্তীতে ১৯৭২ সাল যা বাংলায় ( ১৩৭৯ ) সাল থেকে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয় আর এই সাল থেকেই খাজনা বা কর ধার্য করা হয় ।
পরবর্তীতে(১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ )সাল পর্যন্ত কর ধার্যের পরিমাণ ছিল
পরবর্তীতে(১৯৭৬ থেকে ১৯৮১ )সাল পর্যন্ত কর ধার্য করা হয়েছিল যদি কোন পরিবারে ২৫ বিঘা বা ৮.২৫ একর অথবা এর থেকে বেশি হলে খাজনা বা শিক্ষা কর আদায় করতে হতো । অন্যথায় কারো যদি উক্ত পরিমান জমির থেকে কম হতো তাহলে তাকে কর বা খাজনা আদায় করতে হতো না ।
আর বেশি হলে তাকে অবশ্যই কর আদায় করতে হতো । এবং পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে ২৫ বিঘা জমির প্রতি ৩৩ শতাংশ অর্থাৎ 90 পয়সা খাজনা দিতে হতো এবং ২৫ বিঘার উর্ধ্বে জমি হলে প্রতি বিঘা ৫ টাকা খালনা ছিল ।
(১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ ) সাল পর্যন্ত কর ধার্যের পরিমাণ ছিল
(১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ ) সাল পর্যন্ত ২ একর জমির জন্য খাজনা প্রদান করতে হতো প্রতি শতাংশ ৩ পয়সা , কোন ব্যক্তির জমির উপর নির্ভর করত তার কত টাকা খাজনা হবে ।
নিচে জমি ও খাজনার পরিমাণ দেখানো হলো ঃ
১। (২ থেকে ৫) একর জমি হলে
কোন ব্যক্তির জমি ২ থেকে ৫ একর হয় তাহলে তাকে প্রথম ২ একর এর জন্য ৬ টাকা এবং পরবর্তী তার জমির প্রতি শতাংশের জন্য ১৫ পয়সা কর ধার্য করা হবে ।
৫ থেকে ১০ একর জমি হলে
২। ( ৫ থেকে ১০ ) একরজমি হলে
আবার কোন ব্যক্তির জমি যদি ( ৫ থেকে ১০ ) একর হয় তাহলে উক্ত নিয়মে প্রথম ৫ একর জন্য ৫১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য তাকে 36 পয়সা দিতে হবে ।
৩। (১০ থেকে ১৫) একর জমি হলে
আবার কোন ব্যক্তির জমি যদি ১০ একর থেকে ১৫ একর হয় তাহলে তাকে প্রথম ১০ একর এর জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য তাকে ৬০ পয়সা করে কর দিতে হবে ।
৪। (১৫ থেকে ২৫ ) একর জমি হলে
এখন কোন ব্যক্তির জমি যদি ১৫ থেকে ২৫ একর হয় তাহলে তাকে ১৫ একরের জন্য ৫৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য তাকে 60 পয়সা করে কর দিতে হবে ।
আবার ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সালে খাজনার পরিমাণ ছিল
১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দুই একর জমির জন্য প্রতি শতাংশ 3 পয়সা , যা এক টাকার কম নয় ।
১। জমি ২ থেকে ৫ একর হলে
অর্থাৎকারো জমি যদি ২ থেকে ৫ একর হয় তাহলে তাকে খাজনা দিতে হবে প্রতি শতাংশের জন্য ৩০ পয়সা ।
২। জমি যদি ৫ থেকে ১০ একর হয়
আবার কারো জমি যদি ৫ থেকে ১০ একর হয় তাহলে তাকে প্রতি শতাংশের জন্য খাজনা দিতে হবে ৫০ পয়সা করে ।
৩। পরিশেষে কারো জমি যদি 10 একরের বেশি হয়
এবং পরিশেষে কারো জমি যদি 10 একরের বেশি হয় তাহলে তাকে খাসনা প্রদান করতে হবে প্রতি শতাংশের জন্য ২ টাকা করে ।
বর্তমানে প্রচলিত ভূমির খাজনা
কৃষি জমির ক্ষেত্রে ঃ
কোন ব্যক্তির যদি ২৫ বিঘা জমি হয় তার সেক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার প্রয়োজন হয় না । কিন্তু ২৫ বিঘার বেশি হলে ১০ একর পর্যন্ত প্রতি শতাংশ জমির জন্য ৫০ পয়সা করে কর দিতে হবে এবং ১০ একরের উর্ধ্বে হলে প্রতি শতাংশ ১ টাকা কর দিতে হবে ।
অকৃষি জমি বা বসতবাড়ির ক্ষেত্রে
সাধারণত কৃষি জমি বাদে সমস্ত জমিকে অকৃষি জমি হিসেবে ধরা হয় । বিভিন্ন ধরনের জেলা যেমন খুলনা , গাজীপুর , নারায়ণগঞ্জ , ঢাকা-চট্টগ্রাম , রাজশাহী মহানগরীর মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আবাসিক জমির খাজনা দিতে হয় প্রতি শতকে ২২ টাকা করে ।
এবং এটি যদি বাণিজ্যিক হয় তাহলে ১২৫ টাকা করে খাজনা দিতে হবে । আবার যদি জেলা সদরের আবাসিক জমি হয় তাহলে তাকে প্রতি শতকে ৭ টাকা এবং বাণিজ্যিক ২২ টাকা করে কর দিতে হবে ।
এবং পরিশেষে পৌরসভা ঘোষিত পণ্য এলাকা নয় সে সকল এলাকার জন্য ২৫ শতকে ৫ টাকা এবং বাণিজ্যিক ১৫ টাকা করে কর দিতে হবে ।
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
বর্তমান অফিসগুলোতে খাজনা দিতে গেলে দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি বা দালাল চক্রের শিকার হতে হয় । যার কারণে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটালাইজেশন এর মাধ্যমে ২০২৩ সাল থেকে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করার সেবাটি চালু করেছেন ।
এজন্য আপনি চাইলে ঘরে বসে খুব তাড়াতাড়ি অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন । তাহলে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে খাজনা পরিশোধ করবেন ।
খাজনা পরিশোধ করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন ।
১। প্রথমে আপনি ভূমিমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয় হয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে । এবং প্রবেশ করার পর নিচের মতো এমন একটি অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করুন ।
২। এরপরের ধাপে আপনাকে নাগরিক নিবন্ধন করতে হবে ।
এখানে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বর এবং নিচের যাচাইকৃত সংখ্যাগুলো যোগ করুন এবং এবং পরিশেষে পরবর্তী পদক্ষেপে ক্লিক করুন ।
৩। এরপরে আপনার সামনে এমন একটি অপশন আসবে । এরপর আপনাকে এখানে পাসওয়ার্ড দিতে হবে ।
এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়ে গেলে সংরক্ষণ করুন এখানে ক্লিক করতে হবে । এরপর পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করুন।
আপনাকে আবার দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ নাগরিক নিবন্ধন অপশনে ফিরে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনাকে লগইন করার একটি অপশন আছে সেখান থেকে আপনাকে লগইন করে নিতে হবে ।
এবং পরিশেষে লগইন করুন এখানে ক্লিক করতে হবে ।
৫। এরপর আপনাকে অনলাইন খাজনা পরিশোধ করার জন্য প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করতে হবে । এবং পরবর্তীতে আপনার ইমেইল এবং বর্তমান ঠিকানার অপশনটি অসম্পূর্ণ থাকবে এভাবে ধাপে আপনার তথ্য দিয়ে প্রোফাইলটি নিশ্চিত করুন ।
৬। এরপরে আপনাকে জমির নতুন খতিয়ান যুক্ত করতে হবে ।
এখানে আপনাকে খাজনা পরিশোধ করার পূর্বে আপনার জমির নতুন খতিয়ান যুক্ত করতে হবে তার জন্য আপনাকে একাউন্টের ড্যাশবোর্ড থেকে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করতে হবে । তারপর আপনার সামনে এমন একটি ফর্ম চলে আসবে ।
এবং আপনার উপরের ফরমটি আপনাকে পূরণ করতে হবে এবং সংযুক্তি অপশনে পূর্ব থেকে কম্পিউটার বা মোবাইলে স্ক্যান করে রাখা খতিয়ান ও দাখিলএর কপি আপলোড করে সংযুক্ত করতে হবে ।
এবং বাকি অপশন গুলো পূরণ করে আপনাকে সংরক্ষণ অপশনে ক্লিক করতে হবে । এবং আপনাকে মনে রাখতে হবে যে উপরোক্ত তথ্য প্রদান করার পর খতিয়ান আপলোড হতে ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । তারপর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস প্রধানকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে হোল্ডিং নাম্বার এন্টি সম্পন্ন করাবেন ।
৭। এবং এই ধাপে হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন করে তথ্য পূরণ করতে হবে
খতিয়ান আপলোড সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাকে আবার ভূমি উন্নয়ন ও ওয়েবসাইটে ফিরে গিয়ে লগইন করতে হবে এবং তারপর ড্যাশবোর্ডে চলে যান । এরপর ডেসবোর্ডে থেকে হোল্ডিং বাটনে ক্লিক করুন । এবং আপনার খতিয়ান টি সঠিকভাবে আপলোড হওয়ার পর অন্যান্য তথ্য সম্মিলিত একটি ফর্ম দেখতে পাবেন ।
এবং খাজনা পরিষদ করার জন্য আপনাকে উপরের পেজের নিচে অনলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে ।
৮। এরপর পেমেন্ট অপশনে গিয়ে আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে
ভূমি উন্নয়ন খাজনা প্রদানের জন্য আপনাকে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে খাজনা প্রদান করতে হবে । তার জন্য আপনি পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করলে আপনি অনেক কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন যেমন বিকাশ , নগদ , রকেট , উপায় ইত্যাদি এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ইচ্ছামত একটি অপশনে ক্লিক করুন ।
এরপর উক্ত সংশ্লিষ্ট মোবাইল নাম্বার এবং আপনার বিকাশ কিংবা নগদ একাউন্টের পিন দিয়ে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন তাহলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে । এরপর আপনি খাজনা প্রদান করার রশিদ ডাউনলোড করে নিন । খাজনা প্রদানকৃত ডাউনলোড করবেন আলোচনা করা হলো ।
কিভাবে খাজনা প্রধানকৃত ডাউনলোড করবেন
উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনার খাজনা প্রদান করা হয়ে গেলে , আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেই আপনার খাজনা প্রদান কৃত রশিদ ডাউনলোড করতে পারবেন । আর এর ও রশিদ টি পেতে হলে আপনাকে ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে ।
এবং সেখান থেকে ড্যাশবোর্ডের প্রবেশ করুন । তারপর মেনুবার থেকে দাখিল অপশনে ক্লিক করুন । এবং পরিশেষে মেনু ওয়ার্ড থেকে দাখিল অপশনে ক্লিক করলে খাজনা রশিদটি পিডিএফ কপির মতো দেখতে পাবেন ।
অনলাইনে জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে
আজ থেকে কয়েক বছর আগে যখন মানুষ ইউনিয়ন বা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা প্রদান করত ।
তখন কোন জমির মালিককে অনেক কাগজপত্র নিয়ে যেতে হতো , তার জমির খাজনা প্রদান করার জন্য । কিন্তু বর্তমানে খুব অল্প সময়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এত কাগজপত্র ছাড়াই খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন । তার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন । নিচে সে সকল কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হল ঃ
- প্রথমত আপনার সর্বশেষ পর্চা পুরনো দাখিল অর্থাৎ সর্বশেষ রেকর্ড বা খতিয়ানের কপি ।
- পূর্ববর্তী বা আগের দাখিলার কপি ।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ।
- একটি স্মার্টফোন এবং উক্ত ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকা প্রয়োজন ।
- এবং সর্বশেষে জমির অবস্থান অনুযায়ী বিভাগ জেলা উপজেলা ও মৌজা তথ্য ।
আপনাকে কর প্রদান করার জন্য উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে । এ সকল জিনিস দিয়ে আপনি খুব সহজে , মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার জমির খাজনা প্রদান করতে পারবেন । সাধারণত অনলাইনে ভূমির খাজনা প্রদান করার দুটি উপায়ে রয়েছে ।
- প্রথম মত আপনি ভূমি উন্নয়ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খাজনা প্রদান করতে পারবেন ।
- এবং দ্বিতীয় ভূমি উন্নয়ন কর নামক মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন ।
কিন্তু আপনার সব থেকে বেশি ভালো হবে ভূমি উন্নয়ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খাজনা প্রদান করা । কেননা ভূমি উন্নয়ন খাজনা প্রদানের জন্য এটা উত্তম মাধ্যম হিসেবে সবার কাছে পরিচিত । আপনি চাইলে দুইটির যেকোনো একটার মাধ্যমে খাজনা প্রদান করতে পারেন ।
জমির খাজনা যথাসময়ে পরিশোধ কেন করবেন ? যেনে নিন
সারা বিশ্বে এখন বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা বা বিপদগ্রস্ত , মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সম্পদের জন্য হয়ে থাকে । কেননা যাদের জমি আছে কিন্তু কোন বিপদ বা ঝামেলায় পড়েনি এমন লোক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া বর্তমানে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
এই জমি সংক্রান্ত অনেক কালোবাজার অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের দালাল চক্র রয়েছে । যারা বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে আপনার কাছ থেকে আপনার জমি নিয়ে নেয় । বর্তমানে অসংখ্য মানুষ এমন চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন ।
আর এমন হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জমির মালিকানা বা ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত যদি যথেষ্ট জ্ঞান থাকতো , তাহলে কোন দালাল চক্রের হাতে পড়তো না এবং সে কোন ঝামেলায় ও জড়াতোনা ।
এর জন্য আপনাকে জমির খাজনা পরিশোধ করতে হবে এবং জমির খাজনা পরিশোধ করার সময় আপনি চাইলে দেখতে পারবেন যে , জমির কাগজে কোন রকম সমস্যা আছে কিনা ?
আপনার জমির কাগজে যদি কোন রকম সমস্যা থাকে , তাহলে আপনি যে কোন জটিলতায় পড়তে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের দালাল চক্রের হাতে আপনি নিঃস্ব হয়ে যেতে পারেন । এজন্য আপনার জমির সুরক্ষার জন্য আপনি আইনি সহায়তা পেতে জমির খাজনা পরিশোধ করুন ।
এই পোস্টটি সম্পর্কে লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি আপনার জমির খাজনা প্রদান করবেন । প্রত্যেক নাগরিকের উচিত তার জমির আইনি সহায়তা পেতে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা থেকে বিরত থাকার জন্য খাজনা প্রদান করা ।
এরপরেও যদি আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন কেননা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য ও জ্ঞানমূলক পোস্ট করে থাকি । এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মর্ডান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url